কমতে শুরু করেছে তিস্তার পানি

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে বেড়ে যাওয়া তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। আজ সোমবার (২১ জুন) সকাল থেকে প্লাবিত নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নামতে দেখা গেছে।
আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৪২ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচে (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দেয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে দেখা দিয়েছে ভাঙন। গত ১০ দিনে তিস্তার ভাঙনে প্রায় শতাধিক পরিবারের ঘর বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
সদর উপজেলার গোকুণ্ডা ও আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নে তিস্তার ভাঙন বেড়েই চলছে। ফলে সেখানকার মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা,পলাশী, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা, ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করে। তবে ধীরে ধীরে পানি নামতে শুরু করেছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত) আব্দুল আল মামুন বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘গতকাল রোববার তিস্তার পানি বিপৎসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে আজ সোমবার সকাল থেকে ধীরে ধীরে পানি কমতে শুরু কর।’
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘তিস্তার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ভাঙন কবলিত পরিবারগুলোর তালিকা করে তা পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর লালমনিরহাট প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান হাসান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.