ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ: আদমদীঘির সান্তাহার ইউপিতে ভিজিএফ‘র চাল কেজির পরিবর্তে বালতির মাপ


আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: আদমদীঘির সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকার প্রদত্ত ভিজিএফ‘র চাল কেজি ওজন যন্ত্রের পরিবর্তে বালতির মাপে বিতরণ করা হচ্ছে। এতে অধিকাংশ উপকার ভোগি দরিদ্র মানুষ ১০ কেজি চালের পরিবর্তে ৮কেজি থেকে সাড়ে ৮ কেজি চাল পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার বেলা ১০টা থেকে ওই ইউনিয়নে ভিজিএফ‘র চাল চাল বিতরণ শুরু করেণ কৃর্তপক্ষ।
আদমদীঘি উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন (পিআইও) অফিস সুত্রে জানাযায়, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকার প্রদত্ত আদমদীঘির সান্তাহার ইউনিয়নে ১ হাজার ৫০২ টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিনামুল্যে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ বরাদ্দ দেয়া হয়।
সান্তাহার ইউনিয়নে বুধবার সকাল ১০ টা থেকে চাল বিতরণ শুরু হয়। কিন্তু কৃর্তপক্ষ দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসারের সামনে উপকারভোগিদের মাঝে কেজির পরিবর্তে বালতির ওজনে বিতরণ করেন। এই চাল পাবার পর অনেক উপকারভোগির সন্দেহ হলে তারা পাশের দোকানে গিয়ে প্রাপ্ত চাল ওজন যন্ত্রের মাপ দিয়ে দেখেন ১০ কেজি ওজন যন্ত্রের পরিবর্তে পেয়েছেন ৮ কেজি থেকে সাড়ে ৮ কেজি চাল। ওজনে কম পাওয়ার পর উপহারভোগিরা হৈচৈ শুরু করেও কোন ফল পাননি তারা। ফলে কম চাল নিয়েই ফিরতে হয়েছে এইসব দরিদ্র পরিবারকে।
খবর পেয়ে সংবাদ কর্মিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছিলে উপকারভোগি সান্দিড়া গ্রামের মৌমিতা, হালিমা, পানলা গ্রামের রিনা বেগম, আখি আক্তার. দমদমা গ্রামের খলিলুর রহমানসহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন তাদের কেজি ওজনের পরিবর্তে বালতির মাপে চাল প্রদান করা হয়েছে।
উপহারভোগি অনেকেই পাশের দোকানে ভিজিএফ‘র চাল পাওয়ার পর কেজি ওজনে মাপ করে দেখেন ১০ কেজির স্থলে ৮ কেজি থেকে সাড়ে ৮ কেজি চাল পেয়েছেন।
উপকারাভোগি খলিলুর রহমান জানায় তিনি পৌনে ৯ কেজি চাল পেয়েছেন। ইউনিয়নে ভিজিএফ‘র চাল কোন ওজন যন্ত্র ব্যবহার না করে বালতির মাপে বিতরণ করায় উপকারভোগিরা চাল ওজনে কম পাচ্ছেন বলে অনেকের ধারনা।
সান্তাহার ইউপি চেয়ারম্যান নাহিদ সুলতানাকে মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলাম বালতি দিয়ে চাল বিতরন বিষয়টি বিটিসি নিউজকে নিশ্চিত করে বলেন. ইউপি চেয়ারম্যান বালতির মাপ দিয়ে বিতরণের জন্য বলায় বালতির মাপে বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার শ্রাবণী রায় বিটিসি নিউজকে বলেন, দেখভালের জন্য একজন ট্যাগ অফিসার নিয়োগ রয়েছে তিনিই দেখবেন। তারপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.