ঢাকাপ্রতিনিধি: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘এবারের সংগ্রাম গণতন্ত্রের সংগ্রাম, ১৮ কোটি মানুষের মুক্তির সংগ্রাম।’ আজ বৃহস্পতিবার (০৯ মার্চ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ প্রসঙ্গ টেনে এক মানববন্ধনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ ও স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপুসহ সব রাজবন্দীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্যোগে এই মানববন্ধন হয়।
সংগঠনের আহ্বায়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন।আর সদস্যসচিব ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর পরিচালনা করেন। এতে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপি নেতা আবদুস সালাম আজাদ, শিরীন সুলতানা, ডা.রফিকুল ইসলাম, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ।
আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি, গুম, খুন ও নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে গয়েশ্বর বলেন, ‘এমন সময় আসবে পাড়া-মহল্লায় লেখা থাকবে, এখানে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, এখানে কোনো আওয়ামী লীগ নেই। যেভাবে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর লেখা হয়েছিল, এখানে রাজাকার নেই।’
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আসন ভাগাভাগি নিয়ে মার্কেটিং করা হচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘প্রতিবেশী বা বিদেশি যারা এই মার্কেটিং করছেন তাদের বলব আপনারা ক্ষ্যন্ত হন। তা ছাড়া কিন্তু জনগণ আপনাদের কাপড় চোপড় খুলে ফেলবে।’
গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশে জনবিস্ফোরণ ঘটাতে জনগণ প্রস্তুত উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, ‘জনগণের আন্দোলন যখন বিস্ফোরণমুখী তখন কৃত্রিম বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন নিয়ে, বিএনপিকে নির্যাতন করে সরকার একটি নির্বাচনের স্বপ্ন দেখছেন। বিএনপি ও মানুষ মারার বিস্ফোরণ ঘটাবেন না। এবারের দৃষ্টি একটা গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার আদায়ের।’
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.