এক ঢিলে তিন পাখি মারা যাবে না, যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়া

(এক ঢিলে তিন পাখি মারা যাবে না, যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়া–ছবি: সংগৃহীত)
বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের সংলাপে যুক্তষ্ট্র এক ঢিলে তিন পাখি মারতে চাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে রাশিয়া। মস্কোর দাবি, এই সংলাপে আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে অন্তর্ভুক্ত করতে চাচ্ছে।
অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের সংলাপে রুশ প্রতিনিধিদলের প্রধান মিখাইল উলিয়ানোভ এ মন্তব্য করেছেন।
গতকাল সোমবার (০৫ জুলাই) এক টুইটার বার্তায় তিনি বলেন, কোনো কোনো পশ্চিমা কর্মকর্তা ও বিশ্লেষক ভিয়েনা সংলাপে আরো দুটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তুলছেন। কিন্তু এটা এক ঢিলে তিন পাখি মারার সমতুল্য।
রাশিয়ার এই প্রতিনিধি বলেন, এই প্রচেষ্টা অবাস্তব ও অগঠনমূলক। বর্তমানে ভিয়েনায় যে সংলাপ চলছে তার একমাত্র লক্ষ্য ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতাকে আবার সক্রিয় করা।
উলিয়ানোভ একই দিন আরেক টুইটার বার্তায় বলেন, রাশিয়া প্রচণ্ডভাবে পারস্য উপসাগরের নিরাপত্তা নিয়ে সংলাপ চায়।কিন্তু সেটি আলাদা বিষয় এবং তাকে পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা যাবে না।
২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতাকে আবার আগের অবস্থায় সক্রিয় করার জন্য অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় গত এপ্রিল থেকে ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের সংলাপ চলছে। মার্কিন প্রতিনিধিদল এই সংলাপে পরোক্ষভাবে অংশ নিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে ইরানের সঙ্গে বাকি দেশগুলোর মধ্যে পারমাণবিক চুক্তি হয়, যা জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ অ্যাকশন প্ল্যান (জেসিপিওএ) নামে পরিচিত। কিন্তু ওবামার পর সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ২০১৮ সালের মে মাসে এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায় এবং ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এরপর ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের ঘোষণা দেয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই চুক্তিতে ফেরার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ফলে নতুন করে কূনৈতিক তৎপরতা শুরু হয়েছে।
বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার দেশকে এই সমঝোতায় ফিরিয়ে আনার আগ্রহ প্রকাশ করলেও তিনি ইরানকে আগে তার প্রতিশ্রুতিতে পুরোপুরি ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। কিন্তু ইরান বলেছে, আমেরিকা আগে এই সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গেছে বলে তাকে আগে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে এতে ফিরে আসতে হবে। ইরান ও আমেরিকার মধ্যকার মতপার্থক্যের এই জায়গাটি নিয়ে মূলত ভিয়েনায় ধারাবাহিক সংলাপ চলছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.