এই হামলা ইরানের জন্য বার্তা: যুক্তরাষ্ট্র

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে মার্কিন সামরিক বিমান হামলা ইরান এবং তেহরান-সমর্থিত মিলিশিয়াদের জন্য একটি বার্তা বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
পেন্টাগনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, চলতি মাসে এবং গত বছরে  বেশ কয়েকবার মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে যারা হামলা চালিয়েছিল, তেহরান-সমর্থিত সেইসব মিলিশিয়াদের জন্য বার্তা দিয়েই ওই বিমান হামলা চালান হয়েছে। 
মার্কিন প্রতিরক্ষা বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি কলিন কাহল সাংবাদিকদের বলেন,  ইরানের আধাসামরিক বিপ্লবী গার্ড সমর্থিত মিলিশিয়াদের স্থাপনাগুলোতে স্থানীয় সময় বুধবারা রাতভর মার্কিন বিমান হামলা প্রমাণ করেছে যে ‘ইরান এবং ইরান-সমর্থিত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে রক্ষা করতে দ্বিধা করবে না’।
তিনি বলেন,  গত ১৫ আগস্ট সিরিয়ায় মার্কিন সেনা ঘাঁটি আল-তানফ গ্যারিসনে হামলার ধরন বিশ্লেষণ করে যুক্তরাষ্ট্র বিমান হামলার সিদ্ধান্ত নেয়। ওই সেনা ঘাঁটি থেকে পাওয়া ড্রোনের অংশবিশেষ পরীক্ষা করে ইরানের মিলিশিয়াদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মেলে বলে জানান তিনি।
এদিকে, সিরিয়ার জনগণ এবং অবকাঠামোর ওপর মার্কিন সেনাবাহিনীর হামলাকে দেশটির সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতার লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি।
বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড সেন্টকমের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশনায় সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় দেইর আজজোর এলাকায় হামলা চালানো হয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, সিরিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলা হচ্ছে সন্ত্রাসী পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে আগ্রাসন ও দখলদারির বিরুদ্ধে যারা লড়াই করছে তাদের ওপর আঘাত করা হয়েছে।
নাসের কানয়ানি বলেন, সিরিয়ার ভূখণ্ডে মার্কিন সেনাদের অব্যাহত উপস্থিতি আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। এটা সরাসরি দখলদারিত্ব।
তিনি বলেন, মার্কিন সেনাবাহিনীকে অবিলম্বে সিরিয়া ত্যাগ করতে হবে এবং দেশটির তেল ও শস্যসহ সম্পদ লুট বন্ধ করতে হবে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.