উজিরপুরে প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কু-রুচিপূর্ন বক্তব্য দেওয়ায় থানায় সাধারন ডায়েরী

 

উজিরপুর প্রতিনিধি:  বরিশালের উজিরপুর প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের ছবি ব্যবহার করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গুটি কয়েক পত্রিকায় কুরুচিপূর্ন সংবাদ প্রকাশ করায় কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করেছে।

এ ঘটনায় গতকাল সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) উজিরপুর মডেল থানায় ৭৩৫ নং সাধারন ডায়েরী (জিডি) করেছেন প্রেসক্লাব সভাপতি আঃ রহিম সরদার।

স্থানীয় সাংবাদিকরা অভিযোগ করেন গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪টায় প্রেসক্লাবের স্থায়ী কার্যালয়ে কমিটির দুই সদস্যকে অব্যহিত দেওয়া বিষয়ে এক জরুরী সভা করা হয়েছিল।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সভাপতি আঃ রহিম সরদার, সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শিপন, সাবেক সভাপতি হেমায়েত উদ্দিন, মহসিন মিয়া লিটন, সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম, নাসির উদ্দিন বালী, খবির উদ্দিন হাওলাদার, যুগ্ম সম্পাদক নাসির শরীফ, কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান রনি, দপ্তর সম্পাদক মাহাবুব হোসেন, প্রচার সম্পাদক নাজমুল হক মুন্না, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এমদাদুল কাসেম সেন্টু, সদস্য কল্যান চন্দ, আহমেদুর কবির বিপ্লব, শাকিল মাহামুদ আউয়াল, কাওসার রাড়ী, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

সভার শেষ মূহুর্তে উজিরপুর মডেল থানার ওসি শিশির কুমার পাল প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক দিয়ে তার ব্যক্তিগত কাজে উজিরপুর বাজারে যাওয়ার সময় সাংবাদিকরা তাকে দেখতে পেয়ে চায়ের আমন্ত্রন জানায়। এ সময় ওসি কিছু সময় সাংবাদিকদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ।

কিন্তু উজিরপুরে জহির খান নামে এক কথিত সাংবাদিক গোপনে ওই সভার ছবি তুলে কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগ ও পত্রিকায় কু-রুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করে সংবাদ প্রকাশ করিয়াছে। এ ঘটনায় প্রেসক্লাবের সকল কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। উজিরপুর পৌরসভার রাখালতলা এলাকার ওয়ার্কশপ মিস্ত্রী বাবুল খানের ছেলে জহির খান ইতিপূর্বে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের সোনার বাংলা নামক স্থানে নিজের স্ত্রী থাকা স্বত্ত্বেও এক গৃহবধুর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় স্থানীয়রা হাতে নাতে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে, এক পর্যায়ে গৃহবধুর দায়ের করা ধর্ষন চেষ্টা মামলায় দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময় জেল-হাজত বাস করে।

জেল থেকে বের হয়ে সাংবাদিকতার লেবাজ লাগিয়ে একের পর এক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রকৌশলী, যুবউন্নয়ন কর্মকর্তা সহ একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফেইজবুকে দূর্নিতীর সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার কৌশল অবলম্বর করে। অনেকের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে ফেইজবুকের আইডি থেকে সেই স্টাটাস মুছে ফেলেন।

এছাড়া এক নবাগত সাংবাদিককে ভয়দেখিয়ে মারধর করে তার প্রায় এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা দামের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। বিতর্কিত এ কথিত সংবাদ কর্মীর বিরুদ্ধে উজিরপুর থানায় রয়েছে একাধিক অভিযোগ। সে অহরহ মাদকসেবন করে ও মাদক ব্যবসায়ীদের সেল্টার দাতা হিসেবে উজিরপুর জুড়ে বেশ পরিচিত।

এছাড়াও সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই বিভিন্ন এলাকার মাদকসেবীরা জহিরের কাছে জহির কাছে জড়ো হয় এবং গভীর রাত পর্যন্ত মাদকের আসরে থাকে তারা। কথিত সাংবাদিক জহির খাঁন এক মূর্তিয়মান আতঙ্ক। উপজেলা বাসীকে প্রতিনিয়ত থাকতে হচ্ছে আতঙ্কে।

বেপরোয়া জহিরের বিরুদ্ধে রয়েছে মাদক,চাঁদাবাজি, নারী কেলেঙ্কারী, ছিনতাই সহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ। প্রেসক্লাবের কর্মরত সকল সাংবাদিক ও উপজেলা বাসী ঐ মাদকসেবী ও নারীলোভী জহিরের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে প্রশাসনের উর্দ্বোতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসার সেল্টার দাতা হিসেবে দেশব্যপী তার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। উপজেলার হাজার হাজার মানুষ জানান তাকে দ্রুত গ্রেফতার করা না হলে পরবর্তীতে কঠোর আন্দোলন করা হবে বলে ঘোষনা দেয়। এব্যাপারে অভিযুক্তের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর উজিরপুর প্রতিনিধি আঃ রহিম সরদার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.