ইউক্রেনে ভয়াবহ রুশ হামলা, নিহত বেড়ে ৩০

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। কিয়েভের দাবি, জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে রুশ বাহিনীর হামলায় দুই নাবালকসহ নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩০ হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৮৮ জন। শুক্রবার সাধারণ নাগরিকদের একটি কনভয়কে নিশানা করে পুতিন বাহিনী। 
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের বেশ কিছু জায়গা এখনো রাশিয়ার দখলে। ইউক্রেনের পুলিশপ্রধান ইগর ক্লিমেঙ্কো বলছেন, জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে রুশ হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। ৮৮ জন গুরুতর আহত। তারা সবাই সাধারণ নাগরিক। নিহতদের মধ্যে দুজনের বয়স ১১ ও ১৪ বছর। একটি তিন বছরের শিশুও আহত হয়েছে। নিরীহ মানুষের ওপর এই হামলা যুদ্ধাপরাধ। আমরা একজন পুলিশ কর্মীকেও হারিয়েছি। আহতদের মধ্যে ২৭ জন পুলিশকর্মীও রয়েছেন।
জাপোরিঝিয়া প্রদেশের গভর্নর ওলেকসান্দ্র স্তারুক জানিয়েছেন, প্রদেশটির রুশ অধিকৃত অঞ্চলে ঢোকার জন্য অপেক্ষা করছিল একটি অসামরিক কনভয় বা সাধারণ মানুষের বেশ কয়েকটি গাড়ি। তাদের নিশানা করে রকেট হামলা চালায় রাশিয়ার সেনাবাহিনী। একের পর এক রকেট আছড়ে পড়ে গাড়িগুলোতে। ফলে প্রাণ হারান অনেকেই।
উল্লেখ্য, শুক্রবার গণভোটের পর অধিকৃত ইউক্রেনের (Ukraine) দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলের (একত্রে দোনবাস) পাশাপাশি খেরসন ও জাপোরিঝিয়া শহর আনুষ্ঠানিকভাবে রুশ ভূখণ্ডে শামিল করার কথা ঘোষণা করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
বিশ্লেষকদের মতে, দোনবাস অঞ্চলে মূলত রুশ ভাষী জনতার সংখ্যাই বেশি। ফলে বেশ কয়েক বছর থেকেই সেখানে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার একটি লড়াই চলছিল। এবার সে সুযোগই কাজে লাগিয়েছেন পুতিন।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ইউক্রেনের থেকে কৃষ্ণসাগর লাগোয়া ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ ছিনিয়ে নেওয়ার পর ওই অঞ্চলকেও ‘স্বশাসিত’ ঘোষণা করেছিলেন পুতিন।
উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া। তার পর থেকে ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে লড়াই চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। শুরুতে ধাক্কা খেলেও কিন্তু ক্রমশ পায়ের তলায় শক্ত জমি ফিরে পাচ্ছে কিয়েভ। গত জুলাই মাসে, স্নেক আইল্যান্ড হাতছাড়া হওয়ার কথা স্বীকার করেছে রাশিয়া। (সূত্র: এএফপি) #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.