ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে রাশিয়া

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ার বালিতে বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোর সংগঠন জি২০ সম্মেলনের প্রথম দিন মঙ্গলবার রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেন জুড়ে তীব্র ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।
রাজধানী ছাড়াও লিভিভ, পশ্চিমের রিউন, উত্তরপূর্বের খারকিভ, মধ্যাঞ্চলের ক্রিভিরিহ ও পোলতাভা, দক্ষিণের ওদেসা এবং উত্তরের ঝাইতোমিরে রীতিমত ক্ষেপণাস্ত্রের বর্ষণ হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
হামলায় কিয়েভে ‍অন্তত একজন নিহত হয়েছেন বলে মেয়রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি। কিয়েভের প্রাণকেন্দ্রে অন্তত দুইটি আবাসিক ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করেছে।
হামলায় ইউক্রেনের অনেক অঞ্চল বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। অর্ধেক কিয়েভে এখন বিদ্যুৎ নেই।
এদিন রাশিয়া ইউক্রেনে ৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে এবং আরো অন্তত ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়বে বলে এক ভিডিও বার্তায় দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
জেলেনস্কির কার্যালয়ের উপ প্রধান কিরিলো তিমোশেঙ্কো বলেছেন, রাজধানী কিয়েভের অবস্থা ‘খুবই মারাত্মক’।
রাশিয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো লক্ষ্য করেই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে বলেও জানান কিরিলো তিমোশেঙ্কো। তিনি বলেন, ‘পুরো দেশের অবস্থাই গুরুতর। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে হামলার কারণে বাধ্য হয়ে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিতে হয়েছে। ফলে কিয়েভের একাংশ অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। রাশিয়ার সন্ত্রাসীরা বিদ্যুৎ অবকাঠামোগুলোতে আবারও পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে।’
সম্প্রতি রুশ বাহিনী তাদের দখলে থাকা অঞ্চল খেরসন থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। যেটিকে ইউক্রেনের বিজয় এবং রাশিয়ার জন্য চরম অপমান হিসেবে ধরা হচ্ছে।
খেরসন থেকে পিছু হটার পর মঙ্গলবারই প্রথম আবার ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো রাশিয়া এবং সেটা জি২০ সম্মেলনের চলাকালে। অথচ, এবারের জি২০ সম্মেলনের প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে ইউক্রেন যুদ্ধ। সম্মেলনে বক্তব্য রাখা সব নেতাই রাশিয়াকে এ যুদ্ধ বন্ধ করতে বলেছেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.