আসতে চলেছে পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিল

কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি: সম্প্রতি দেশে ‘পেগোসাসের’ মতো সফটওয়্যার নিয়ে অনেক তর্কবিতর্ক হয়েছে। এবার আসতে চলেছে ‘ডেটা প্রোটেকশন’ বিল। ব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনেই সরকার চাইছে বিল পাশ করিয়ে নেবার।
ঠিক কি এই ডেটা প্রোটেকশন বিল-এই বিল অনুযায়ী দেশবাসীর ওপর নজরদারির অসীম ক্ষমতা ও স্বধীনতা তুলে দেওয়া হচ্ছে সরকারি এজেন্সীগুলোর হাতে। সরকারিভাবে কেন্দ্র অবশ্য বলছে এই আইনের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলোকেই নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা হবে।
কোনও সোশ্যাল মিডিয়া কি পোস্ট করছে বা শেয়ার করছে তার দায়ভার সংশ্লিষ্ট সংস্থাকেই নিতে হবে। একই ভাবে সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য বিনা অনুমতিতে ব্যবহৃত হলে আইন অনুযায়ি ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
কিন্তু বিরোধীদের বক্তব্য, এই ইস্যুতে, নাগরিকদের সমস্ত তথ্য চলে যাবে কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থার কাছে আর কেন্দ্রকে কে নিয়ন্ত্রণ করবে-কেউ না, অর্থাত নিজেরা থেকে যাচ্ছেন সুরক্ষা বলয়ের মধ্যেই।
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে মোবাইল-সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে অসাধু কারবারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তাঁদের পর্যবেক্ষণে বলেছিল, যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে সাধারণ নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য সুনিশ্চিত করতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। ২০১৯থেকে এবিষয়ে আলোচনার পর আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনেই জমা পড়বে এই বিলের খসড়া।
বিরোধীরা যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকের আগে দুটি দাবিতে লিখিত আপত্তি (ডিসেন্ট নোট) দিয়েছে।
প্রথমত, দেশবাসীর অতি ব্যক্তিগত গোপনীয় নথি কখনোই কেন্দ্রীয় সংস্থার এজেন্সীগুলোর হাতে দেওয়া যাবে না।
দ্বিতীয়ত, ডেটা সুরক্ষা সংক্রান্ত যে নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠিত হবে তাতে রাজ্যের অধিকারকে কখনোই খর্ব করা যাবে না।
সংসদে এই বিলের বিরোধিতা করার জন্য যেমন তৃণমূলের ডেরেকওব্রায়েন আছেন তেমনি কংগ্রেসের জয়রাম রমেশেরাও আছেন। একই সুর শোনাগেল মোদী সরকারের বন্ধু দল, বিজু জনতা দলের এম পি অমর পট্টনায়কের কথায়।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি স্বপন দেব। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.