আভা বিমানবন্দরে হামলা, প্লেনে আগুন

(আভা বিমানবন্দরে হামলা, প্লেনে আগুন–ছবি: সংগৃহীত)
বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সৌদি আরবের আভা বিমানবন্দরে বিস্ফোরক বোঝাই ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনি হুতি বিদ্রোহীরা। এতে একটি বেসামরিক প্লেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারী) সৌদির রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আল-আখবারিয়া টেলিভিশন সামরিক জোটের বক্তব্য উদ্ধৃত করে এ তথ্য জানায়।
এ হামলাকে কাপুরোষিত বলে নিন্দা জানিয়েছে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। তবে হুতিরা বলছে, ইয়েমেনে পাঁচ বছর ধরে চলা সৌদি জোটের আগ্রাসনের প্রতিবাদে এ হামলা চালানো হয়েছে।
আল জাজিরা, রয়টার্স ও এপির খবরে বলা হয়, আভা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাপুরুষোচিত হামলা চালিয়েছে হুতি মিলিশিয়ারা। এতে একটি বেসামরিক প্লেনে আগুন ধরে যায়, যা ইতোমধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
হামলার পরপরই এর দায় স্বীকার করেছে ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা। তাদের মুখপাত্র ইয়েহিয়া সারেই জানিয়েছেন, চারটি বিস্ফোরকযুক্ত ড্রোন দিয়ে সৌদির বিমানবন্দরে হামলা চালানো হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে অব্যাহত বোমাবর্ষণ এবং বর্বর অবরোধের প্রতিবাদেই এই হামলা।
সৌদি জোটের মুখপাত্র কর্নেল তুর্কি আল-মালিকি জানিয়েছেন, তারা সৌদির দিকে উৎক্ষিপ্ত দু’টি বোমাবাহী ড্রোন ধ্বংস করে দিয়েছেন। এই হামলাকে ‘দক্ষিণাঞ্চলীয় বেসামরিক জনগণকে লক্ষ্যবস্তু বানানোর নিয়মতান্ত্রিক ও ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা’ উল্লেখ করে নিন্দা জানান তিনি।
এ ব্যাপারে আত্মপক্ষ সমর্থন করে হুতির মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা আভা বিমানবন্দরকে বেসামরিক নয়, বরং একটি সামরিক স্থাপনা বলে মনে করেন।
ইয়েমেনি সরকারকে সহযোগিতা এবং বিদ্রোহীদের দমনের লক্ষ্যে ২০১৫ সালে যুদ্ধে যোগ দেয় সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। তাদের হামলায় ইয়েমেনের হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, ঘরবাড়ি হারিয়েছেন কয়েক লাখ।
বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকট ইয়েমেনে চলছে বলে জাতিসংঘের ভাষ্য। দেশটির ৮০ শতাংশ মানুষেরই জরুরি ত্রাণ সহায়তা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে এ বিশ্ব সংস্থা।
নিরীহ ইয়েমেনিদের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হতে পারে আশঙ্কায় সৌদি কাছে সম্প্রতি অস্ত্র বিক্রি নিষিদ্ধ বা স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলো। (সূত্র: আল জাজিরা, রয়টার্স ও এপি)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.