ইরাক ও সিরিয়ায় ১৭ কুর্দি যোদ্ধাকে হত্যার দাবি তুরস্কের

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরাক ও সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় কুর্দিস্তান ওয়ার্কাস পার্টি (পিকেকে)-র ১৭ যোদ্ধাকে হত্যা করেছে তুর্কি বাহিনী। শুক্রবার (১০ মে) এই হত্যার দাবি করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইরাকের উত্তরাঞ্চলের গারা ও হাকুর্কের বিভিন্ন এলাকায় ১০ জন কুর্দি যোদ্ধাকে হত্যা করেছে তুর্কি বাহিনী। এই এলাকায় ‘ক্লো-লক অপারেশন’র অধীনে প্রায়ই আন্তঃসীমান্ত অভিযান চালায় তুর্কি সামরিক বাহিনী।
মন্ত্রণালয়টি আরও জানিয়েছে, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের দুইটি জায়গা থেকে আরও সাত জন কুর্দি যোদ্ধাকে হত্যা করেছে তারা। এখানে এর আগেও হামলা চালিয়েছে তুরস্ক।
১৯৮৪ সাল থেকে তুরস্কের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চালাচ্ছে পিকেকে। এই সংগঠনটি তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মদদপুষ্ট একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
উত্তর ইরাকে তুরস্কের আন্তঃসীমান্ত হামলা কয়েক বছর ধরেই উত্তেজনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই ইরাককে পিকেকে-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে তুরস্ক। এদিকে, মার্চ মাসে এই গোষ্ঠীটিকে একটি ‘নিষিদ্ধ সংগঠন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ইরাক।
গত মাসে বাগদাদ ও কুর্দিস্তানের রাজধানী ইরবিলে কর্মকর্তাদের সঙ্গে উত্তর ইরাকে পিকেকে-এর উপস্থিতির নিয়ে আলোচনা করে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেন, আমি মনে করি, ইরাকও পিকেকে নির্মূল করার প্রয়োজনীয়তা দেখেছে।
সিরিয়ার উত্তরে পিপলস ডিফেন্স ইউনিট (ওয়াইপিজি) যোদ্ধার বিরুদ্ধেও সামরিক অভিযান চালিয়েছে তুরস্ক। এটি পিকেকে-এর একটি শাখা সংগঠন হিসেবে পরিচিত।
এরদোয়ান ও তার মন্ত্রীরা বারবার বলেছেন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারের সঙ্গে শত্রুতাপূর্ণ সম্পর্ক ভালো করার কাজ করছে তুরস্ক। কিন্তু সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ওয়াইপিজি-র বিরুদ্ধে নতুন সামরিক অভিযান পরিচালনা করবে আঙ্কারা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.