আফগান সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষায় তালেবানের হুশিয়ারি

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী তালেবান সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লা ইয়াকুব মুজাহিদ হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, তার দেশের সীমান্ত এলাকাগুলোতে আগ্রাসন চালানোর অধিকার কারও নেই।
তিনি গতকাল রবিবার (২৪ অক্টোবর) এক অডিওবার্তায় বলেছেন, আফগানিস্তান এমন একটি অত্যাধুনিক সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলবে, যেখানে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি একটি শক্তিশালী বিমানবাহিনী থাকবে।
গত ১৫ আগস্ট বড় ধরনের কোনো সংঘর্ষ বা রক্তপাত ছাড়াই গোটা আফগানিস্তানের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে তালেবান। ফলে গত দুই দশকে আমেরিকা ও মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট-ন্যাটো আফগানিস্তানে যত সমরাস্ত্র এনেছিল এবং আফগান সামরিক বাহিনীকে যত প্রশিক্ষণ দিয়েছিল তার সব তালেবানের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
তালেবান প্রতিরক্ষামন্ত্রী তার অডিওবার্তায় আরও বলেন, ইসলামি আমিরাত আফগানিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর অগ্রাধিকারভিত্তিক দায়িত্ব হচ্ছে দেশের সীমান্ত ও ভূমি রক্ষা করা।
আফগানিস্তানের সীমান্ত বা এ দেশের সীমারেখায় আগ্রাসন চালানোর অধিকার কারও নেই। আমরা সে রকম অনুমতি কাউকে দেব না।
তাজিকিস্তানে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটভুক্ত দেশগুলোর ছয় দিনব্যাপী সামরিক মহড়ার শেষ দিনে আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এ বক্তব্য প্রকাশিত হলো।
আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে অনুষ্ঠিত ওই মহড়ায় রাশিয়া, বেলারুশ, আর্মেনিয়া, কাজাখস্তান, কিরঘিজিস্তান ও তাজিকিস্তানের প্রায় পাঁচ হাজার সেনা অংশ নেয় যাদের অর্ধেকই ছিল রাশিয়ার সৈন্য। তবে মোল্লা ইয়াকুব তার অডিওবার্তায় এই মহড়ার প্রতি কোনো ইঙ্গিত করেননি।
১৯৯০-এর দশকে তালেবান আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মোহাম্মাদ ওমরের ছেলে ইয়াকুব মুজাহিদ তালেবানের সবচেয়ে প্রভাবশালী সামরিক ব্যক্তিত্ব।
তিনি কোনো দেশ বা প্রতিপক্ষের নাম উল্লেখ না করে বলেন, আফগানিস্তানে কেউ আগ্রাসন চালালে তালেবান কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখাবে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.