আফগানিস্তানে গানবাজনা বন্ধে বিয়েবাড়িতে ৩ জনকে গুলি করে হত্যা

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় নানগারহার প্রদেশে বিয়েবাড়িতে গানবাজনা বন্ধে তিনজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যায় অংশ নেওয়া দুই হামলাকারী নিজেদের তালেবান সদস্য দাবী করলেও আফগান সরকার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
গতকাল শনিবার (৩০ অক্টোবর) তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘হামলাকারী তিনজনের মধ্যে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তারা তালেবান সদস্য নয়। আটক দুজনকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। অন্য হামলাকারীকেও ধরার চেষ্টা চলছে।’
তিনি বলেন, ‘নানগারহর প্রদেশের একটি গ্রামে তিন ব্যক্তি তালেবানের পরিচয় দিয়ে প্রবেশ করেন এবং গান বন্ধ করার নির্দেশ দেন। এরপর গুলিতে তিনজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হন।’
মুজাহিদ আরও বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে যাদের আটক করা হয়েছে, যারা ইসলামিক আমিরাতের পরিচয় দিয়েছে নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য, তাদেরকে শরিয়াহ আইন অনুযায়ী বিচারের জন্য হস্তান্তর করা হবে।’
হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও নানগারহর প্রদেশের তালেবান সরকারের মুখপাত্র কাজী মোল্লাহ আদেল বিস্তারিত কিছু জানাননি।
ভুক্তভোগী পরিবারের এক সদস্য বলেন, ‘যখন গানবাজনা চলছিল ঠিক তখনই তালেবান যোদ্ধারা গুলি করেন।’
এদিকে বিয়েবাড়ির ওই ঘটনায় তালেবানদের গুলিতে ১৩ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন দেশটির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ।
গতকাল শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় আমরুল্লাহ সালেহ বলেন, ‘নানগারহার প্রদেশের একটি বিয়েবাড়িতে গানবাজনা বন্ধে ১৩ জনতে হত্যা করেছে তালেবান যোদ্ধারা।’
আমরুল্লাহ সালেহ আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তালেবানরা ক্ষমতা দখলের পর আত্মগোপনে গিয়ে নিজেকে ইসলামিক রিপাবলিক অব আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন তিনি।
উল্লেখ্য, এর আগের তালেবান শাসনামলেও আফগানিস্তানে গানবাজনা নিষিদ্ধ ছিল। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের শাসনামলে কড়াকড়ি নিয়ম জারি করে কেউ তা অমান্য করলে শরিয়াহ আইন অনুযায়ী বিচারের মুখোমুখি করত তালেবান সরকার। (সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.