আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ১০ ডিসেম্বর ঢাকা দখল করবে : কাদের

নোয়াখালী প্রতিনিধি: বিএনপির মহাসচিবকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব, আমি বলতে চাই, আমাদের নেতাকর্মীরা মহানগর, পাড়া-মহল্লা, অলি-গলি, জেলা উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন, শহর, গ্রাম সব জায়গায় সতর্ক পাহারায় থাকবে।
বিএনপি বিআরটিসির গাড়ি পুড়িয়েছে। তারা আগুন নিয়ে আসবে, লাঠি নিয়ে আসবে। এ জন্যই পার্টি অফিসের সামনে সমাবেশ করতে চায়। বিশাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে ফখরুল বলে খাঁচা।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা দখল করবে, রাজপথ দখল করবে।’
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে নোয়াখালী শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জিয়াউর রহমানকে জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড বলে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পলাশীর মীরজাফর এখানে খন্দকার মোস্তাক, খুনি। ওখানে সেনাপতি ইয়ার লতিফ এখানে সেনাপতি জিয়াউর রহমান। বিশ্বাসঘাতক। জিয়াউর রহমান ১৫ আগস্টে পৃথিবীর ইতিহাসে নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডে তিনিই ছিলেন মাস্টারমাইন্ড।’
পলাশীর যুদ্ধের উদ্ধৃতি দিয়ে কাদের বলেন, নবাব সিরাজউদ্দৌলা ৪৫ হাজার সৈন্য নিয়ে পরাজিত হয়, পরাজিত হবারতো কথা নয়, লর্ড ক্লাইভের সৈন্য সংখ্যা ছিল সাড়ে ৩ হাজার। অথচ দেখুন, বিজয় যখন অবশ্যম্ভাবী প্রধান সেনাপতি মীরজাফর আলী খান তার সৈন্য দলকে নীরব করে রাখে। সাড়ে ৩ হাজার ইংরেজ বাহিনী ৪৫ হাজার সিরাজউদ্দৌলার বাহিনীকে পরাজিত করলো। বাংলার স্বাধীনতা সূর্য অস্তমিত হলো। মীরজাফরের পুত্র মিরনের নির্দেশে নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে মোহাম্মদ আলী বেগ নৃশংসভাবে হত্যা করে। এটা হচ্ছে বাংলার ইতিহাস। পঁচাত্তরে দেখুন, সোয়া দুইশ বছর পর একই ষড়যন্ত্রের পুনরাবৃত্তি ঘটলো।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আপনারা প্রস্তুত হন, খেলা হবে। এই ডিসেম্বরে খেলা হবে, আগামী নির্বাচনে খেলা হবে, আন্দোলনে খেলা হবে, অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে খেলা হবে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে খেলা হবে, টাকা চুরির বিরুদ্ধে খেলা হবে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে খেলা হবে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে খেলা হবে, দু:শাসনের বিরুদ্ধে খেলা হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই স্লোগান কারও কারও পছন্দ নয়, কিন্তু জনগণ এই স্লোগান পছন্দ করেছে, গ্রহণ করেছে। এই স্লোগান আমি বারবার দিয়েই যাবো। চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, জামালপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, টাঙ্গাইল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গিয়েছি, দেখেছি জনগণ এই স্লোগান দিয়েছে।’
সম্মেলনের উদ্বোধক ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি না আসায় ওবায়দুল কাদের দুপুর ১২টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক  এএইচএম খায়রুল আনম সেলিমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলি, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নোয়াখালী প্রতিনিধি ইব্রাহিম খলিল (শিমুল)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.