অর্থাভাবে দেখাতে পারছেনা ভালো ডাক্তার! কয়েক হাজার টাকায় বাঁচতে পারে নুরানি’র জীবন

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: সদা চঞ্চল একটি মিষ্টি মেয়ে। মুখে তার মায়া, কথায় তার মধুর বুলি। দুষ্টুমি মাতিয়ে রাখতো প্রতিবেশীদের। মুখে লেগে থাকতো যার মধুর হাসি। এলাকাবাসীও তাকে ভালো বাসতো প্রাণ খুলে। সেই মেয়েটির জীবন আজ সংকটাপন্ন। মাত্র কয়েক হাজার টাকায় বাঁচতে পারে তার জীবন।

অর্থাভাবে দেখাতে পারছেনা ভালো ডাক্তার, দিতে পারছেনা প্রাথমিক চিকিৎসা, খাওয়াতেও পারছেনা ভালমন্দ কিছু। এ যেন বিধির এক নির্মম পরিহাস। বাস্তব চিত্রে সরেজমিনে গিয়ে ঘটনাস্থলে ধরে রাখতে পারিনি চোখের পানি আর আজ লিখতে গিয়ে কষ্ট হচ্ছে বারবার কারণ অর্থনৈতিকভাবে তাকে সাহায্য করার মতো আমার সামর্থ্য নেই।

মধ্যম আয়ের দেশে এমনও লোকে খুজে পাওয়া যাবে, তা ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে। তারপর অসহায় মেয়েটির পাশে দ্বারাতে চাই আপনাদের সাহায্য সহযোগিতার আশায়।

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার মধ্য সিঙ্গিমারী ক্যাম্প পাড়া এলাকার দিন মজুর নুর ইসলামের মেয়ে নুরানি খাতুন (১৪)। ১০ মাস ধরে বিছানায় পড়ে থাকলেও পরিবারের লোকজন আজও জানেনা তার রোগ কি।

আর জানবেই বা কি করে নিজে খাবে তার উপায় নাই, ডাক্তারকে দেখাবে বা ঔষধ কিনবে কি দিয়ে।

মেয়েটির বাবা থেকেও যেন নেই। মা হালিমা বেগম অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালায়। জমাজমি বলতে কিছুই নেই। থাকেন অন্যের জমিতে ভাঙ্গা কুঠিরে। ইতিমধ্যে হাঁসমুরগি যা ছিলো তা সবই শেষ হয়েছে স্থানীয় চিকিৎসায়।দেনাও হয়েছে অনেক। অসুখের ১০ মাস অতিবাহিত হলেও তারা আজও জানেননা কি হয়েছে।

শুধু জানেন মেয়েটির পেট ব্যাথা, বমি, ও জ্বর। গায়ের জ্বর বারমাসে লেগেই আগে। অনেক চিকিৎসা করেও অসুখ ছাড়ছেনা, সে কিছুই খেতে পারেনা। যাই খায় তাই আবার বমি করে বের করে দেয়। চলাফেরা, উঠা বসা কিছুই করতে পারেনা।

সাহায্য তুলে গত শুক্রবার রংপুরে পরিপাকতন্ত্র ও লিভার রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ জিম্মা হোসেন নিকট নিয়ে যাওয়া হয় নুরানিকে। তিনি বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষা দিয়ে, মেডিকেলে ভর্তি করাতে বলেন কিন্তু অর্থাভাবে ভর্তি করাতে পারছিলেননা তার পরিবার।

পরে স্থানীয় কয়েকজন নিকট সাহায্য তুলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নুরানিকে ভর্তি করা হয়। মেডিকেলে ভর্তি হয়েও কোন লাভ হচ্ছে, কারণ টাকা না থাকায় ডাক্তারের লেখা ঔষধ তারা কিছুই কিনতে পারছেনা।

মেয়েটির লেখাপড়ায় কঠিন আগ্রহ থাকলেও গত ১০ মাস যাবতকাল স্কুলে যেতে পারছেনা। সে হাতীবান্ধা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ ষ্ঠ শ্রেনীতে পড়ে।

খবর পেয়ে সরেজমিনে নুরানির বাড়িতে গেলে সাংবাদিক এসেছে শুনে প্রাণ ফিরে পায় মা হালিমা বেগম বিটিসি নিউজকে জানান, আশা করি নিউজ করলে হয়তো আল্লাহর দয়ালু বান্দা যে কেউ মেয়েটির পাশে দ্বারাবে। নুরানির সু চিকিৎসা হবে। বেঁচে থাকবে মায়ের কোলে। এখন বাকি ভরসা পাঠক আপনারাই।

আসুন না, কষ্ট হলেও সামান্য কিছু অর্থ দিয়ে মেয়েটির পাশে দ্বারাই। তার চিকিৎসা ও লেখাপ ব্যবস্থা করি। ফিরে যাক নুরানি আবার সেই স্কুলে, হাসিখুশিতে মাতিয়ে রাখুক প্রতিবেশীদের।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর লালমনিরহাট  প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান হাসান।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.