অগ্নিপথ: ভারতজুড়ে বন্ধ, ৫০০ ট্রেন চলাচল বাতিল

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতীয় সেনাবাহিনীতে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিরোধিতায় বিহারসহ কয়েকটি রাজ্যে ২৪ ঘণ্টার বন্ধ কর্মসূচি চলছে। এতে প্রায় ৫০০টি ট্রেন চলাচল বাতিল করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
তবে চলমান বিক্ষোভের মধ্যেই অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগের সময়সূচি ঘোষণা করেছে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
ভারতীয় সেনাবাহিনীতে অস্থায়ীভাবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের নতুন নিয়মের বিরুদ্ধে এখনো বইছে বিক্ষোভের ঝড়। বিহারসহ কয়েকটি রাজ্যে ২৪ ঘণ্টার বন্ধ কর্মসূচি চলছে। এতে প্রায় ৫০০টি ট্রেন চলাচল বাতিল করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। অগ্নিপথ প্রসঙ্গে ভুয়া খবর প্রচারে বেশ কয়েকটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির সরকার।
তবে বিক্ষোভ আমলে না নিয়ে ভারতীয় সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, কোনো বাধার মুখেই এ প্রকল্প থামবে না। প্রকল্পটিতে নিয়োগের সময়সূচিও ঘোষণা করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
রোববার (১৯ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অনিল পুরি জানান, আগামী ২৫ জুনের মধ্যে নিয়োগ সংক্রান্ত নির্দেশিকা প্রকাশ করা হবে।
তিনি বলেন, এ প্রকল্পটি থামিয়ে দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। এটা আমরা কেন থামাব। দেশের যুব সমাজের জন্য এটি খুবই প্রগতিশীল একটি পদক্ষেপ।
এদিকে ভারতের কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র এক বেফাঁস মন্তব্যে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে গোটা ভারতজুড়ে।
রোববার ইন্দোরে দলটির সংবাদ সম্মেলন চালাকালে তিনি বলেন, ‘বিজেপি কার্যালয়ে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে অগ্রাধিকার পাবেন অগ্নিপথ প্রকল্পের অন্তর্ভুক্তরা।’ মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় তার সেই বক্তব্য।
অন্যদিকে দিল্লির যন্তর মন্তরে প্রকল্পটির প্রতিবাদে সত্যাগ্রহে বসেছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। এ অনশনে একে একে যোগ দেন প্রিয়াংকা গান্ধী, সচিন পাইলটসহ দলটির প্রথম সারির সব নেতা। প্রকল্পটি বন্ধে ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদনের কথাও জানান তারা।
অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতায় গত বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) ভারতের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করে প্রতিবাদ জানায় বিক্ষুদ্ধ জনতা। জ্বালাও-পোড়াওয়ের ঘটনাসহ পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনাও ঘটে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.