রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চেষ্টা অব্যাহত রাখবে তুরস্ক : প্রতিমন্ত্রী
বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি: রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে তুরস্ক কাজ করছে জানিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, যাতে করে সম্মানের সঙ্গে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন করা যায় সেজন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কথা বলবে তুরস্ক এবং তারা সেই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে সফরতর তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোলাইমান সয়লু।
আজ শনিবার (০৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোলাইমান সয়লুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী জানান, তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হওয়া মিয়ানমারের নাগরিকদের নিজ দেশে নিরাপত্তা ও সম্মানের সঙ্গে প্রত্যাবাসন করা যায় সেজন্য তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কথা বলছেন। তিনি তার চেষ্টা অব্যাহত রাখবেন বলেও জানিয়েছেন।
ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, সকাল ৮টায় তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার সফর সঙ্গীদের নিয়ে কক্সবাজার বিমানবন্দরে নামেন। কক্সবাজারে পৌছানোর পর আমরা সেখানকার বিভাগীয় কমিশনারসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মিলে তাদের স্বাগত জানাই। সেখানে তিনি গার্ড অব অনার নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি গত ২২ মার্চ আগুনে পুড়ে যাওয়া তার্কিশ ফিল্ড হাসপাতালের উদ্বোধন করেন। সেখানে কাজ করা আফাদ, ভাসীর, তার্কিশ রেড ক্রিসেন্টসহ আটটি তার্কিশ সংগঠনের কর্মস্থল পরিদর্শন করেন এবং তাদের প্রশংসা করেন তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এরপর তুরস্কের অধীনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যে ঘরগুলো করা হয়েছে সেগুলো পরিদর্শন করেন তিনি। পাশাপাশি একটি সাবান ও সেনিটাইজার ফ্যাক্টরি এবং রোহিঙ্গাদের স্বার্থে কাজ করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছেন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছেন তিনি। এসময় তার সরকারের পক্ষ থেকে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং চলমান সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.