কিশোরীকে পতিতালয়ে বিক্রির হুমকি, আটক-১

ক্রাইম (ঢাকা) রিপোর্টার: অপহৃত কিশোরীকে অপহরণের পর পতিতালয়ে বিক্রি করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করে আসছিল দুর্বৃত্তরা। অভিযোগ পেয়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কিশোরীকে উদ্ধার ও একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার (২৪ জুলাই) পুলিশ সদর দফতরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঈদুল আজহার দিন গত বুধবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যায় এক কিশোরীকে ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানা এলাকা থেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবী করা হয়। মুক্তিপণ না দিলে তাকে দৌলতদিয়া পতিতাপল্লীতে বিক্রি করে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়।
পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংকে এমন একটি বার্তা পাঠিয়ে পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া হয়। বার্তা পেয়ে দ্রুত মুক্তাগাছা থানার ওসি মোহাম্মদ দুলাল আকন্দকে নির্দেশনা দেওয়া হয়, অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে। মুক্তাগাছার ওসি প্রযুক্তির সহায়তায় ও প্রাথমিক তদন্তে জানতে পারেন মেয়েটির অবস্থান রাজবাড়ি জেলার  থানা এলাকায়। তাৎক্ষণিকভাবে মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং পাংশা থানার ওসি মোহাম্মদ মাসুদুর রহমানকে নির্দেশনা দেয়, মুক্তাগাছার ওসির সঙ্গে সমন্বয় করে অপহৃত মেয়েটিকে উদ্ধার করতে।
কিশোরীকে উদ্ধারের জন্য পাংশা থানার এসআই মাসুদুর রহমান এবং এসআই মো. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে দুটি টিমকে নিয়োজিত করেন ওসি। সংশ্লিষ্ট জেলার সাইবার ও ডিবি টিমসহ পুলিশের একাধিক টিমের নিরলস প্রচেষ্টায় কিশোরীকে গতকাল শুক্রবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজবাড়ি জেলার পাংশা থানার সরিষা ইউনিয়নের পিড়ালীপাড়া গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়। অপহরণকারী হিসেবে দুর্জয়কে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আজমল আল বাহার মেয়েটিকে উদ্ধারে সহযোগিতা করেছেন। উদ্ধার অভিযানসহ অপারেশনাল সার্বিক বিষয়াদি তত্ত্বাবধান করেছেন রাজবাড়ি জেলা পুলিশ সুপার এমএম শাকিলুজ্জামান এবং ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান।
মেয়েটিকে উদ্ধারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, কয়েক মাস আগে অনলাইনে পরিচয়ের সূত্র ধরে দুর্জয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে মেয়েটির। এক পর্যায়ে বাড়িতে কাউকে না জানিয়ে দুর্জয়ের সঙ্গে পালিয়ে যায় মেয়েটি। দুর্জয় মেয়েটিকে প্রথমে তার নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। তারপর, সেখান থেকে তার নানাবাড়িতে রেখে আসে। মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সে দুর্জয়কে ভালবাসে এবং তার সঙ্গেই থাকতে চায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দুর্জয়ের দিকের কেউ বা এলাকার কোনও দুর্বৃত্ত কোনওভাবে মেয়েটির পরিবারের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে দুর্জয় ও মেয়েটির পরিবারের দুর্বলতার সুযোগে কিছু সুবিধা আদায় করতে চেয়েছিল। এ বিষয়ে তদন্ত করে অপরাধীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে। এই ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ক্রাইম (ঢাকা) রিপোর্টার মো: রুহুল আমীন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.