লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ধামুরা বন্দরের পশ্চিম পার্শ্বে ৩৮৮ নং খতিয়ানের ২৭৮১ নং দাগের ৪.৩৮ শতাংশ জমির উপরে ৩ জন মালিকানায় সম পরিমানে ভাগ করে দোকানঘর নির্মাণ করে দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগ দখলে আছেন।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, জমির প্রকৃত মালিক আঃ মন্নান হাওলাদারের ওয়ারিশগণের কাছ থেকে একই এলাকার জাকির হোসেন দীর্ঘ ১৫ বছর পূর্বে ক্রয় করে ভোগ দখল করে আসছে। ওই দখল কৃত দোকান ঘরটি ১ বছর পূর্বে গোপাল চন্দ্র সেন ক্রয় করে হাডওয়ারের গোডাউন পরিচালনা করে আসছেন।
উক্ত জমিতে একই এলাকার মৃত আঃ রব হাওলাদারের স্ত্রী প্রভাবশালী রাশিদা বেগম তাদের ওয়ারিশ দাবী করে জমি দখলের পায়তারা চালালে গোপাল চন্দ্র সেন গত ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ তারিখ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে দেওয়ানী মোকদ্দমা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে উজিরপুর থানা পুলিশ শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে উভয় পক্ষকে স্ব স্ব অবস্থানে থাকার জন্য নোটিশ প্রদান করেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাশিদা গংরা আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ৭ মার্চ ভোর রাতে ওই দোকানে ঢুকে রাশিদা বেগম ও তার ছেলে উজ্জল হাওলাদার, খোকন হাওলাদারসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন মিলে মালামাল লুট করে নিয়ে যায় এবং দোকানের অর্ধেকে পার্টিশন করে দখলের চেষ্টা চালায়।
এদিকে গোপাল চন্দ্র সেন ভূমিদস্যুদের কবল থেকে তার ভোগ দখলীয় দোকানঘর দখল মুক্ত রাখার দাবীতে সাংবাদিক, পুলিশও প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ধামুরা বাজার কমিটির সম্পাদক মোঃ মুরাদ হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এনায়েত হোসেন শরীফ, নান্টু মিয়া, শোলক ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি সুনিল চন্দ্র কুন্ডু, যুবলীগ নেতা আলাল দেওয়ান, ব্যবসায়ী মালেক, গোপাল ঘোষ, সুভাষ বণিক, শ্যামলশীল, মনির হোসেন বিশ্বাস, বিপুল সাহাসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মা, স্ত্রী, সন্তানসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.