BTC News | বিটিসি নিউজ

আজ- শুক্রবার, ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৬ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি

আজ- ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নির্বাচনি আচরণ বিধি মেনেই বক্তব্য রাখলেন তারেক রহমান

জাতির উদ্দেশে তারেক রহমানের পূর্ণাঙ্গ ঐতিহাসিক ভাষণ

বিশেষ প্রতিনিধি: যুক্তরাজ্যে দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে দেশে প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংসদ নির্বাচনের আচরণ বিধি লঙ্ঘনের ‘আশঙ্কা’ করা হলেও তার ধারে-কাছেও যাননি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। খুব সহজ, সাবলীল ভাষায় ভাষণ দিলেও তাতে ছিল না ভোটারদের প্রভাবিত করার মতো কোনো প্রতিশ্রুতি। দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়নে তার পরিকল্পনা আছে জানালেও তা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছেন সবার সহায়তায়।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে নির্বাচনের আচরণ বিধি লঙ্ঘন হয় কি না, সেদিকে নজর রাখতে বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে আবেদন রেখেছিল।

একই সঙ্গে তারেক রহমানের ‘ফ্যামিলি কার্ড’ পরিকল্পনার প্রচারকে আচরণ বিধি লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেছিল।
জামায়াতের নালিশের পরদিন আজ (২৫ ডিসেম্বর) শাহজালাল (রা.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিটে আয়োজিত সংবর্ধনা মঞ্চে এসে বক্তৃতা দেন তিনি। জানান তার পরিকল্পনার কথা।

বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সদস্য হিসেবে আমি বলতে চাই-আই হ্যাভ আ প্ল্যান, ফর দ্য পিপল অব মাই কান্ট্রি, ফর মাই কান্ট্রি।

…যদি সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হয়, এই জনসমুদ্রে যত মানুষ উপস্থিত আছেন, এই বাংলাদেশে গণতন্ত্রের শক্তি যত মানুষ আছে, প্রত্যেকটি মানুষের সহযোগিতা আমাদের লাগবে। আপনারা যদি আমাদের সহযোগিতা করেন, ইনশাআল্লাহ-আই হ্যাভ আ প্ল্যান, আমরা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হব।

তিনি এই বক্তব্যের মাঝে কিছুটা পরিকল্পনার ইঙ্গিত দিলেও ভোটারদের প্রভাবিত করার মতো কোনো প্রতিশ্রুতি সামনে আনেননি। বরং বলেন, দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী, চার কোটিরও বেশি তরুণ প্রজন্মের সদস্য, পাঁচ কোটির মতো শিশু, ৪০ লাখের মতো প্রতিবন্ধী মানুষ রয়েছে, কয়েক কোটি কৃষক-শ্রমিক রয়েছে।

এই মানুষগুলোর একটি প্রত্যাশা আছে এই রাষ্ট্রের কাছে। এই মানুষগুলোর একটি আকাঙ্ক্ষা আছে এই দেশের কাছে। আজ আমরা সবাই যদি ঐক্যবদ্ধ হই, আজ আমরা সবাই যদি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই, তাহলে আমরা সেই লক্ষ কোটি মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারি, ইনশাআল্লাহ।

যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন, সবাই মিলে ন্যায়পরায়ণতার ভিত্তিতে দেশ পরিচালনার কথা উল্লেখ করে বিএনপির এই কাণ্ডারি বলেন, আসুন, আমরা সবাই মিলে প্রতিজ্ঞা করি যে, ইনশাআল্লাহ আগামী দিনে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে যারা আসবে, আমরা সবাই মিলে নবী করিমের (সা.) ন্যায়পরায়ণতার আলোকে দেশ পরিচালনার চেষ্টা করব।

কেবল তার এই বক্তব্যই নয়, পুরো সমাবেশকে কেন্দ্র করেও ছিল না ভোটের প্রচার।

এ নিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, আমরা দেখেছি আমাদের সঙ্গে যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন করেছেন, তারা গতকাল নির্বাচন কমিশনে গিয়েছিলেন।

গিয়ে সেখানে বলেছেন, আমাদের মিটিংয়ের মাধ্যমে যেন নির্বাচনি আচরণ বিধি লঙ্ঘন না হয়।

আসলে তারেক রহমান এসেছেন, এখানে আমরা ধানের শীষের কোনো স্লোগান দিইনি। কোনো প্ল্যাকার্ড আমরা ব্যবহার করিনি। আমরা একটি নিয়মের মধ্যে, একটি নিয়মতান্ত্রিক অভ্যর্থনা দিয়ে তাকে রিসিভ করেছি। আমরা এখনও কোনো নির্বাচনি আচরণ বিধি লঙ্ঘন করছি না। আমরা শুধু সৌজন্যটা রক্ষা করছি।

সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধি অনুযায়ী, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব ধরনের আগাম প্রচার বন্ধ করতে হয়। এ ছাড়া ভোটের ২১ দিনের আগে প্রচার চালানো যায় না। প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পর প্রচার শুরু করতে হয়। আর তা শেষ হয় ভোটগ্রহণ শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে।

এর আগে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-২০২ ফ্লাইটটি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি রুহুল আমীন খন্দকার। #

এইরকম আরও খবর

সর্বশেষ খবর

ব্রেকিং নিউজ