বাঘায় বলৎকারের শিকার শিশু, আদালতের নির্দেশে মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক : বাঘার আলাইপুর গ্রামে এক কিশোর বলৎকারের শিকার হয়েছে। গত ১৯ মার্চ ঘটনা ঘটলেও আদালতের নির্দেশে ২০ দিন পর অবশেষে মামলাটি রেকর্ড করেছে বাঘা থানা পুলিশ। এ ঘটনার পর পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত চার যুবক। তবে ঘৃণা ও লজ্জায় নিজের বাড়ি ছেড়ে নানার বাড়ি আশ্রয় নিয়েছে ওই কিশোর।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত মাসের ১৯ তারিখ দুপুরে নদীতে গোসল করতে যায় উপজেলার আলাইপুর গ্রামের (৯ বছর) বয়সী এক কিশোর। এ সময় তাকে ফাঁকি দিয়ে একটু দুরে (কাঁশ বনে) ডেকে নিয়ে যায় একই গ্রামের (২০ থেকে ২৪ বছরের বয়সী) বাবু, হৃদয়, মিশন ও আরিফ নামে চার যুবক। এরপর সবাই মিলে তাকে বলৎকার করে। ঘটনার এক পর্যায় ওই কিশোর কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি চলে আসে এবং বাড়ির সবাইকে বিষয়টা জানিয়ে দেয়।
অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, ঘটনার দিন গ্রামবাসিদের কাছে বিচার না পেয়ে পরদিন সকালে ভুক্তভুগি’র-মা’ তার সন্তানকে নিয়ে থানায় আসেন। কিন্তু সেখানেও মামলা নিতে গড়িমশি করে পুলিশ। নিরুপায় হয়ে পরদিন রাজশাহী (নারী ও শিশু নির্যাতন) আদালতে গিয়ে মামলা দায়ের করেন ওই কিশোরের মা লাভলি বেগম। এরপর বিষয়টি আমলে নেয় আদালতের বিচারক। তিনি এ মামলাটি রেকর্ড করাসহ তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন বাঘা থানা পুলিশকে। সর্বশেষ ৯ এপ্রিল এ মামলাটি রেকর্ড করে বাঘা থানা পুলিশ। যার নম্বর (৬)।
এদিকে ঘটনার পর লজ্জা ও ঘৃণায় নিজ গ্রাম থেকে তার নানার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে ভুক্তভুগি কিশোর। মামলার বাদি লাভলি বেগম জানান, আমার ছেলে দেখতে খুব সুন্দর। ঘটনার পরদিন পুলিশ মামলা নিলে আমি আদালতে যেতাম না। আমি এ ঘটনার ন্যায় বিচার চাই।
এ মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা বাঘা থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) মনসুর রহমান জানান, মঙ্গলবার সকালে আলাইপুর গ্রামে গিয়ে ছিলাম। আসামিরা সবাই পলাতক রয়েছে। তবে এলাকাবাসিরা বিষয়টা অবগত বলে তিনি জানান।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হাসান বলেন, ঘটনার পর বাদি থানায় আসেনি। আদালত নির্দেশ দেওয়ায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.