রাবিতে কোটার আন্দোলনে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি চাকুরিতে বিদ্যমান কোটা সংস্কার আন্দোলন এক মাস স্থগিতের সিদ্ধান্তের ঘটনায় ২৪ ঘন্টা না পেরোতেই দু’ অংশে বিভক্ত হয়ে নতুন মোড় নিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কোটা সংস্কার আন্দোলন। এর মধ্যে পাল্টাপাল্টি অবস্থান কর্মসূচী ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন তারা। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন বিশ্ববিদ্যালয় কোটা সংস্কার আন্দোলনের আহ্বায়ক কমিটি।
অপরদিকে আরেকপক্ষ প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতাকর্মীরা দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছনে আম বাগানে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় কোটা সংস্কার আন্দোলনের আহ্বায়ক মাসুদ মোন্নাফ বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কমিটি প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত দিয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত আমরা এ আন্দোলনে যাবো না। কিন্তু একটি কুচক্রী মহল বিভিন্ন ফেসবুক পেইজ ও তাদের নিজস্ব ফেসবুক ওয়ালে কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। কোটা সংস্কারের আন্দোলনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের এই কমিটির বাইরে অন্য কোন কমিটি নেই। তাই আমাদের কার্যক্রমের বাইরে যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে তাদের দায়ভার আমরা নিব না।’
অপরদিকে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতৃত্বাধীন সংবাদ সম্মেলনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী উম্মে কুলসুম কণি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কোন ধরনের বিভ্রান্তি ও গুজবে কান না দিয়ে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
এসময় আগামীকাল সকল বিভাগের ক্লাস বর্জন এবং সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা দেন।
এসময় কোটা সংস্কার চাই নামক নতুন আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ফিদেল মনির, কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি আব্দুল মজিদ অন্তর, ছাত্র ফেডারেশন নেতা মহব্বহত হোসেন মিলন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল ১১ টার দিকে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড় হতে থাকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক মাসুদ মোন্নাফ শিক্ষার্থীদেরকে কেন্দ্রীয় নির্দেশ মানার অনুরোধ জানিয়ে প্রগতিশীল নেতাদের আন্দোলনে অংশ না নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
এরই মধ্যে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বের করেন প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ সহ শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ভবনের সামনে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হলে সেখানেই অবস্থান নেন তারা। এসময় ক্যাম্পাসে পুলিশ কেন? প্রশাসন জবাব চাই এমন স্লোগান দিতে থাকেন। এরপর দুপুর ১টার দিকে অবস্থান কর্মসূচী শেষ করেন তারা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.