ভারতে কমেছে সুস্থতার হার, আক্রান্ত ৯ লক্ষ ছাড়াল : মৃত্যু ২৪ হাজারের কোটায়
বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমণের দিনে করোনা রোগীর সংখ্যা ৯ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে প্রাণহানি ২৪ হাজারের কোটায় ঘুরছে। তবে, চলতি সপ্তাহ থেকে কমেছে সুস্থতার হার। তারপরও আক্রান্তদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ রোগী বেঁচে ফিরেছেন।
দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ হাজার ৪৯৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ৯ লক্ষ ৬ হাজার ৭৫২ জনে দাঁড়িয়েছে। যার ষাট শতাংশই তিন রাজ্যের (মহারাষ্ট্র, দিল্লি ও তামিলনাড়ু)।
একই সময়ে প্রাণহানি ঘটেছে ৫৫৩ জনের। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ২৩ হাজার ৭২৭ জনের মৃত্যু হলো করোনায়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ১৮ লক্ষের বেশী নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে সর্বাধিক সংক্রমণ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে। তারপরেই তামিলনাড়ু, দিল্লি, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক এবং তেলেঙ্গানা। এদিকে, বিশ্ব তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রাজিলের পরে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ করোনাক্রান্ত দেশ হলো ভারত।
এদিকে গতকাল সোমবার (১৩ জুলাই) মহারাষ্ট্রে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় সাড়ে ৬ হাজার মানুষ। এতে করে এ রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ৬১ হাজারে দাঁড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ৪৮২ জনের। গতকাল সোমবার (১৩ জুলাই) থেকে এ রাজ্যে থেকে ১০ দিনের কড়া লকডাউন শুরু হয়েছে।
তামিলনাড়ুতে এখন পর্যন্ত ১ লক্ষ ৪২ হাজার ৭২২ জনের শরীরে ভাইরাসটির সংক্রমণ পাওয়া গেছে। যেখানে প্রাণহানি ঘটেছে ২ হাজারের বেশী জনের।
রাজধানী দিল্লিতে করোনার থাবায় প্রাণ গেছে ৩ হাজার ৪১১ জনের। আর ভুক্তভোগীর সংখ্যা বেড়ে ১ লক্ষ ১৩ হাজার ৭৪০ জনে দাঁড়িয়েছে।
সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতে প্রথমদিকে সামাজিক দূরত্বের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন লকডাউনের কড়াকড়ি নেই। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ায় বাজার-হাট, গণপরিবহনে বেড়েছে লোকের ভিড়। বেড়েছে একে অপরের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনাও। তাই, প্রতিদিনই আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা।
অপরদিকে, গেল সপ্তাহ পর্যন্ত সুস্থতার হার উল্লেখযোগ্য থাকলেও বর্তমানে কিছুটা কমেছে। তারপরও গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ হাজার ৯৯০ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনা মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ৫ লক্ষ ৭১ হাজারের বেশী ভুক্তভোগী। যেখানে বেঁচে ফেরার হার ৬৩ শতাংশ।
ফলে, দেশটিতে বর্তমানে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ১১ হাজার ৮০৫ জন। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.