লালমনিরহাটে সেতুর অভাবে দুই গ্রামের ১৫ হাজার মানুষের দুর্ভোগ

সরেজমিনে লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের ধাইরখাতা নামক এলাকায় গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র। ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে রত্নাই নদী। নদীর দুই পাড়ে শিবেরকুটি ও ধাইরখাতা গ্রামে বাস করেন ১৫ হাজার মানুষ। ইউনিয়নকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে নদীটি।

স্থানীয়রা বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, দুই গ্রামের কৃষকের উৎপাদিত পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। পণ্যের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় কৃষকরা হন ক্ষতির সম্মুখীন। রোগীসহ পণ্য পরিবহনের জন্য বিকল্প পথে ৫-৬ কিলোমিটার ঘুরে চলাচল করতে হয়। এতে বেড়ে যায় পরিবহন খরচ।
ওই এলাকার বাসিন্দা জালাল হোসেন, রমজান আলী বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, এখানে একটি ব্রীজ নির্মাণ জরুরী। গ্রামের এপারের অনেকের জমি রয়েছে ওপারে আবার ওপারের অনেকের জমি রয়েছে এপারে। ফলে উৎপাদিত পণ্য পারাপারে সমস্যায় পড়ছেন কৃষকরা।
এছাড়া গ্রামে এ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস প্রবেশ করতে না পারায় রোগী নিয়ে পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। একটি সেতুর জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বার বার আবেদন জানিয়েও সাড়া পাইনি।
তবে নদীতে ব্রীজ নির্মাণ হলে শিবেরকুটি, দক্ষিণ শিবেরকুটি, বনগ্রাম, ধাইরখাতাসহ আশপাশের গ্রামের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হবে। বদলে যাবে গ্রামীণ অর্থনীতি।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফ আলী খান বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, গ্রামীন রাস্তা সংস্কার। তাই মুজিব বর্ষেই গ্রামের সকল রাস্তাঘাট মেরামত, সেতু কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর লালমনিরহাট প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান হাসান। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.