বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের করোনা “কোভিড-১৯” টেস্ট করাবে বিসিবি

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: চলমান করোনার কারণে দীর্ঘদিন অবরুদ্ধ ক্রিকেটসহ গোটা ক্রীড়াঙ্গন। ক্রিকেটকে তাই আবারও মাঠে ফিরিয়ে আনার লক্ষে খেলোয়াড়দের করোনা (কোভিড-১৯) পরীক্ষার আওতায় আনার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

বিষয়টি নিয়ে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি পরিস্কার করেছে যে, খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্যগত বিষয়ে তারা কোন রকম ঝুঁকি নিতে রাজি নয়। প্রাণঘাতি এই ভাইরাসটি গোটা বিশ্বে বিশৃংখলতার সৃষ্টি করেছে।

এ বিষয়ে বিসিবি’র ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেন, ‘আমরা খেলোয়াড়দের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করানোর কথা ভাবছি। কিভাবে এই পরীক্ষার কাজ সম্পাদন করা যায় তা নিয়ে ভাবছে সংশ্লিষ্ঠ বিভাগ। আমরা জানি, এই ভাইরাস কতটা ভয়ঙ্কর। তাই খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্যগত বিষয় নিয়ে কোন রকম ঝুঁকি নিতে চাই না।’

সর্বশেষ তথ্যমতে, দেশে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা ৬০ হাজার ৩৯১ জন। ইতোমধ্যে প্রাণঘাতি এই ভাইরাসের সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮২৮ জনে। যদিও ক্রিকেটাররা তাদের বাড়িতেই কাটিয়েছে পুরো সময়টা এবং লকডাউন চলাকালে বোর্ডের গাইডলাইন অনুসরণ করেই অনুশীলন করেছে তারা। তারপরও কোন রকম ঝুঁকিতে না থাকার লক্ষ্যেই পরীক্ষা করানোর চিন্তা করছে বোর্ড।

বিসিবি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামুদ্দিন চৌধুরী বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে খেলোয়াড়দের পরীক্ষার আওতায় আনাটা জরুরী। তখন তারা নিজেরাও নিরাপদ বোধ করবে।’

তিনি জানান, ইতোমধ্যে শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে জীবাণুমুক্ত করার কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে। প্রথম পর্বে বিসিবির অফিসগুলোকে জীবানুমুক্ত করা হচ্ছে। এরপর ক্রমান্বয়ে জীবাণুমুক্ত করা হবে মাঠ, ইনডোর, একাডেমী মাঠ, জিমনেশিয়াম, খেলোয়াড়দের শ্রিমাগার ও অন্যান্য অবকাঠামো।

বিসিবি কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, মাঠ খেলোয়াড়দের উপযোগী করতে আরও দুই সপ্তাহ সময় লাগবে। ইতোমধ্যে খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত অনুশীলনের অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বোর্ড। সামাজিক দূরত্ব মেনেই এসব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হবে।

অনুশীলনের বিষয়ে বিসিবির প্রধান ফিজিশিয়ান ডা. দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘শুরুতে ধীর স্থিরভাবেই অনুশীলন করতে হবে।

একজন খেলোয়াড় অনুশীলনের জন্য সময় পাবেন এক ঘন্টা। গাইডলাইন মেনেই একজন খেলোয়াড় অনুশীলন করবেন। তাকে সহায়তা করবেন ট্রেইনার, ফিজিও এবং সুপারভাইজার। এর বাইরে অন্য কেউ সেখানে থাকতে পারবে না। এরপর একইভাবে অনুশীলনে নামবে আরেকজন খেলোয়াড়।’

তিনি বলেন, ‘কিছুদিন এভাবে কাটানোর পর আমরা তিনজন করে খেলোয়াড় নিয়ে গাইডলাইন অনুসরণ করে নতুন অনুশীলন শুরু করব। ইতোমধ্যে আইসিসির পক্ষ থেকে একটি গাইডলাইন দেয়া হয়েছে। আমরা সেটা অনুসরণ করব।’ (সূত্র- বাসস)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.