৯ বছর পর দেশের মাঠে উইন্ডিজের কাছে হারল টাইগাররা

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: করোনা ইস্যুতে বাংলাদেশ সফরে আসেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় দলের অধিনায়কসহ সেরা ১০ জন তারকা ক্রিকেটার।
শুধু তাই নয়, ২০১২ সালের পর থেকে রোববারের আগ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের শক্তিশালী দলও বাংলাদেশ সফরে এসে টাইগারদের টেস্টে হারাতে পারেনি।
অথচ টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিয়মিত অধিনায়ক জেসন হোল্ডার, কাইরন পোলার্ড, ড্যারেন ব্রাভো, রোস্টন চেজ, শেলডন কটরেল, এভিন লুইস, শাই হোপ, শিমরন হেটমায়ার, নিকোলাস পুরান, ফাবিয়েন অ্যালেন ও শেন ডাওরিচদের ছাড়াই তারুণ্যনির্ভর দল নিয়ে বাংলাদেশ জয় করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিল উইন্ডিজ।
চতুর্থ ইনিংসে রেকর্ড ৩৯৫ রানের টার্গেট তাড়ায় অবিশ্বাস্য ব্যাটিং করেছেন কাইল মায়ার্স। ক্যারিয়ারে চতুর্থ টেস্ট খেলতে নেমে চতুর্থ ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন উইন্ডিজের এই উঠতি ক্রিকেটার। আগের তিন টেস্টে সর্বোচ্চ ৪০ রানের ইনিংস খেলা মায়ার্স চট্টগ্রাম টেস্টে খেলেন ৩১০ বলে ২০ চার ও সাত ছক্কায় অপরাজিত ২১০ রানের ইনিংস। তার এমন অতিমানবীয় ইনিংসে ভর করেই পরাজয়ের শঙ্কা কাটিয়ে অবিশ্বাস্য জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এমন জয়ে বিশ্বতারকাদের প্রশংসা কুড়িয়েছে ক্রেগ ব্রাথওয়েটের নেতৃত্বাধীন তারুণ্যনির্ভর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল।
চট্টগ্রাম টেস্টে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে মেহেদী হাসান মিরাজের সেঞ্চুরি আর সাকিব-সাদমানের জোড়া ফিফটিতে ভর করে ৪৩০ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে অফ স্পিনার মেহেদীর ঘূর্ণি বলে বিভ্রান্ত হয়ে ২৫৯ রানে অলআউট হয় ক্যারিবীয়রা।
১৭১ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ দল স্কোর বোর্ডে ১ রান জমা করতেই হারায় ২ উইকেট। তবে অধিনায়ক মুমিনুল হকের সেঞ্চুরি আর লিটন দাসের ফিফটিতে ভর করে আট উইকেটে ২২৩ রান করে ৩৯৪ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে চতুর্থ দিনে মেহেদী হাসান মিরাজের অফ স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে ৫৯ রানে ৩ উইকেট হারানো উইন্ডিজ দিন শেষ করে ১১০/৩ রানে।
রোববার শেষ দিনে ব্যাটিংয়ে নেমে দায়িত্বশীলতার পরচয় দেন কাইল মায়ার্স ও এনকেরুমা বোর্ন। চতুর্থ উইকেটে তাদের ২১৬ রানের জুটিতে জয়ের ভিত পায় ক্যারিবীয়রা। ৮৬ রানে তাইজুল ইসলামের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে এনকেরুমা আউট হলেও দলের জয়ে শেষ দিনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান কাইল মায়ার্স। ক্যারিবীয় লোয়ারঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের নিয়ে লড়াই চালিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন কাইল মায়ার্স।
২০১২ সালের নভেম্বরে খুলনা ও ঢাকা টেস্টে জয় পায় ড্যারেন স্যামির নেতৃত্বাধীন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। #

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.