৯০ ভাগ মানুষের মুখেই মাক্স নেই নাটোরেও বাস্তবায়ন হচ্ছে না ‘নো মাক্স নো সার্ভিস’ কার্যক্রম


নাটোর প্রতিনিধি: মাক্স ব্যবহার বাধ্যতামূলক হলেও নাটোরের মানুষ তা মানছে না। অফিস, আদালত, থানা, ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ‘নো মাক্স-নো সার্ভিস’ কার্যক্রম বাস্তবায়ন হচ্ছেনা। নিরাপদ সামাজিক দূরত্বসহ কোনো স্বাস্থ্যবিধিই মানা হতায়াক্কা করছে না জনসাধারণ ।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের সেকেন্ড ওয়েভ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সরকারি অফিস-আদালতসহ বিভিন্ন স্থানে ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস (মুখে মাস্ক না পরলে সেবা দেয়া হবে না) নির্দেশনা রয়েছে।

তারপরও কার্যত এটি এখনো শ্রোগানেই সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে। নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ নীতি বাস্তবায়ন করার ব্যাপারে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকলেও জনসাধারণের অংশগ্রহণ নেই বললেই চলে ।

এর আগে বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করেছিল সরকার । কিন্তু এ বিষয়ে মানুষের মধ্যে শিথিলতা দেখা যায়।

এখন আসন্ন শীত মৌসুমে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কায় মাস্ক ব্যবহারের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে সরকার।

আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার জনবহুল চাঁচকৈড় হাটে গিয়ে দেখা যায়, শতকরা ৯০ জন মানুষের মুখেই মাক্স নেই। বরং নিয়মের তোয়াক্কা না করে হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে গাদাগাদি ঠাসাঠাসিভাবে বেচাকেনা করতে দেখা গেছে। অনেকের মতে প্রশাসন নিরব ভুমিকা পালন করছে। এদিকে করোনা রোগের পরীক্ষা নিরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষের আগ্রহও কমে যাচ্ছে।

করোনাকালীন শীতে উপজেলার কোথাও অভিযান পরিচালনা করতে দেখা যায়নি। জেল জরিমানাও হয়নি। ফলে মানুষের মধ্যে বিশ্বব্যাধি করোনা সম্পর্কে সচেতনতা লোপ পাচ্ছে। গ্রামগঞ্জে তো আরও করুন অবস্থা।

অধিকাংশ মানুষই বর্তমান করোনার ভয়াবহতা ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় এলাকায় করোনার প্রভাব বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মুজাহিদুল ইসলাম।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.