তাড়াশে ঐতিহাসিক নওগাঁ দিবস বুধবার

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে আগামীকাল বুধবার (১১ নভেম্বর) ঐতিহাসিক নওগাঁ যুদ্ধ দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযুদ্ধে উত্তরবঙ্গের বেসরকারি সাব-সেক্টর কমান্ড পলাশডাঙ্গা যুবশিবিরের মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় সম্মুখ যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়।

তাড়াশ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার গাজী বীর মুক্তিযোদ্ধা আরশেদুল ইসলাম জানান, ৭১ এর ১০ নভেম্বর বুধবার রাতে পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আব্দুল লতিফ মির্জার নেতৃত্বে পাঁচ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা বিশ্রামের জন্য সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ বাজার এলাকায় অবস্থান নেয়।

খবর পেয়ে পরদিন ১১ নভেম্বর বৃস্পতিবার ভোরে পাক বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা মুক্তিযোদ্ধাদের ঘিরে ফেলে। এ সময় মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিরোধে গড়ে তুললে শুরু হয় গেরিলা যুদ্ধ। ভোর পাঁচটা থেকে শুরু হয়ে বিকেল তিনটা পর্যন্ত টানা ১০ ঘণ্টাব্যাপী যুদ্ধে প্রায় আড়ইশ’ পাকসেনা ও দেড়শতাধিক রাজাকার নিহত হয়। এক পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়ে পালিয়ে যায় পাক সেনারা।

এ সময় একজন ক্যাপ্টেনসহ ৮ জন পাকিস্থানি সেনা সদস্য অস্ত্রসহ ধরা পড়ে পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের গেরিলা মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে। তবে পলাশডাঙ্গা যুবশিবিরের যোদ্ধাদের প্রাণপন লড়াই ও কৌশলে পাক সেনারা পরাযস্থ হলেও দু’জন মুক্তিযোদ্ধা সামান্য আহত হওয়া ছাড়া তাদের আর কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। নওগাঁ যুদ্ধে পরাজয়ের মাধ্যমেই মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্থানিদের পরাজয়ের পটভূমি রচিত হয়।

দিবসটি উপলক্ষে আগামীকাল বুধবার সকালে শহীদদের স্মৃতিস্থম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, র‌্যালি ও আলোচনা সভা নওগাঁ শাহ শরীফ জিন্দানী ডিগ্রি কলেজ মাঠে আয়োজন করা হয়েছে।

আলোচনা সভায় সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গাজী বীর মুক্তিযোদ্ধা ম.ম. আমজাদ হোসেন মিলন, সিরাজগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গাজী শফিকুল ইসলাম শফি, পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের সহকারী পরিচালক অ্যাডভোকেট বিমল কুমার দাস, সর্বাধিনায়ক গাজী সোহরাব আলী সরকারসহ মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত থাকবেন।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি মোসুলতান হোসেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.