২১ এপ্রিল রাজশাহী ও রংপুরের সীমানা পুনঃনির্ধারণের আপিল শুনানি

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী ২১ এপ্রিল থেকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তাবিত সীমানা পুনঃনির্ধারণসংক্রান্ত দাবি-আপত্তি আবেদনের আপিল শুনানি শুরু করবে, যা শেষ হবে ২৫ এপ্রিল। শুনানি শেষে ৩০ এপ্রিল চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে ইসির। সোমবার কমিশন সভা শেষে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

নির্বাচন ভবনে দিনব্যাপী বিভাগওয়ারি এসব শুনানি হবে জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, ২১ এপ্রিল: রংপুর, রাজশাহী, বরিশাল; ২৩ এপ্রিল: খুলনা, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ; ২৪ এপ্রিল: চট্টগ্রাম বিভাগ; ও ২৫ এপ্রিল: ঢাকা বিভাগের শুনানি হবে।

হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আজকের বৈঠকে সীমানা নির্ধারণ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে যে ৪০টি আসনে খসড়া পরিবর্তন আনা হয়েছিল সেগুলোর শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া আইন ও বিধি সংশোধনের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে আরপিও সংশোধনের বিষয় নিয়ে কিছু প্রস্তাবনা করা হয়েছে। এগুলো আলোচনা হয়েছে কিন্তু সিদ্ধান্ত হয়নি। পরবর্তী ১২ এপ্রিল বসে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

সচিব বলেন, আমাদের ৩০০ আসনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন ৪০টি আসনের সীমানা পরিবর্তন করেছিল এবং বাকি ২৬০টি আসন অবিকল ছিল। এই ৪০টি আসনের বিপরীতে আমাদের আরও ২০টি আসনে পরিবর্তন আনার জন্য আমাদের কাছে আবেদন এসেছে। মোট ৬০টি আসনে আপত্তি জানিয়েছে।

ইসি সচিব বলেন, আমাদের কাছে ৪০৭টি দরখাস্ত এসেছে। আর ২২৪টি আবেদন আমাদের এই পরিবর্তনকে সাপোর্ট করে করা হয়েছে। সবমিলিয়ে ৬৩১টি আবেদন আমরা পেয়েছি। এই আবেদনের ওপরে আগামী ২১ এপ্রিল থেকে শুনানি হবে।

সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, আমাদের আরপিওতে প্রায় ২০ থেকে ২৫টি সংশোধনী প্রস্তাব আনা হয়েছে। কিছু প্রস্তাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে, কিছু প্রস্তাব গ্রহণের জন্য রাখা হয়েছে, কিছু প্রস্তাব আগের মতো রাখার জন্য বলা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত সিদ্ধান্ত হয়নি। পরবর্তী সময়ে নির্বাচন কমিশন একটি চূড়ান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করবে, সেটার ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আশা করি ৩০ এপ্রিলের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি হবে।

সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, নির্বাচন আচরণবিধি নিয়ে পরবর্তী ১২ এপ্রিল যে সভা অনুষ্ঠিত হবে সেখানে এটা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

তিনি বলেন, পূর্বে ৩৮টি আসনের পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছিল, পরে আরও দুইটি আসন যোগ হয়েছে। সিলেট-২ এবং ৩ আসন প্রাথমিক তালিকায় ছিল, কিন্তু গুনতে ভুল হয়ে গিয়েছিল। এখন ৪০টি আসন গেজেট হয়েছে। আরও ২০টি আসন সংশোধনের জন্য আবেদন পাওয়া গিয়েছে। ৪০টির ওপরে মূলত আপত্তি এবং পরামর্শগুলো শুনানি হবে। অন্যগুলো কমিশনে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.