২০০৮ সালের পর প্রথম তুরস্ক-ইসরায়েল বৈঠক

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বার্ষিক সভায় অংশ নেওয়ার সময় সাইডলাইন বৈঠক করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
২০০৮ সালের পর দুদেশের নেতাদের এটাই প্রথম সরাসরি বৈঠক বলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে।
ফিলিস্তিনের সঙ্গে ইসরায়েলের দ্বন্দ্বের জেরে তুরস্কের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল। সম্প্রতি দেশ দুটির নেতাদের মধ্যে এক ধরনের সখ্যতা তৈরি হয়েছে। তারা শিগগির নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করবেন বলেও আশা করা হচ্ছে।
দুদেশের শীর্ষ নেতার জ্বালানি নিয়ে আলোচনার হয় বৈঠকে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ গোয়েন্দা তথ্য ভাগ করে নেওয়ার জন্য এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে ২০১৪ সালে গাজায় সংঘাতের পর দুই সেনাসহ ৪ নাগরিককে ইসরায়েল ফিরিয়ে দেওয়ারও দাবি জানান।
ন্যাটো-সদস্য তুরস্ক হামাসের সদস্যদের সমর্থন দিয়ে আসছে, যারা গাজা শাসন করে। যেখানে বেশিরভাগ পশ্চিমা দেশ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসাবে চিহ্নিত করে হামাসকে। তুরস্কের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক পুনর্গঠনের জন্য এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গাজায় ইসরায়েলের হামলার পর ২০০৮ সালে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তুর্কি মাভি মারমারা জাহাজে ইসরায়েলি হামলা এবং ১০ বেসামরিক লোক নিহতের পর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়।
সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য কয়েক মাসের প্রচেষ্টার পর বেশ কয়েকটি সাফল্য চোখে পড়ে বিশ্ববাসীর। গত কয়েক মাসে দুই দেশের শীর্ষ কর্মকর্তারা একাধিকবার দেশ দুটি সফর করেছেন। বাণিজ্য, গোয়েন্দা, জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা এই চারটি খাতে দেশ দুটি একে অপরের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। (সূত্র: আল জাজিরা) #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.