১ ও ২ ফেব্রুয়ারি ৩৬ তম জাতীয় কবিতা উৎসব

বিশেষ প্রতিনিধি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার চত্বরে ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৩৬তম জাতীয় কবিতা উৎসব। বরাবরের মতো এই উৎসবের আয়োজক জাতীয় কবিতা পরিষদ। এবারের উৎসবের স্লোগান, ‘যুদ্ধ গণহত্যা সহে না কবিতা’।
কবিতা উৎসব সামনে রেখে আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় কবিতা পরিষদ। সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের নেতারা বলেন, বাংলাদেশ ছাড়াও বেশ কয়েকটি দেশের কবি ও কবিতাপ্রেমীরা উৎসবে একত্র হবেন। তাঁরা এই উৎসবে যুদ্ধ, গণহত্যাসহ সব অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাবেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুই দিনব্যাপী এই উৎসবের উদ্বোধন করবেন কবি নির্মলেন্দু গুণ। উৎসবে কবিতাপাঠ, নিবেদিত কবিতা, সেমিনার, আবৃত্তি ও সংগীতের মধ্য দিয়ে ‘যুদ্ধ গণহত্যা সহে না কবিতা’ স্লোগানকে মূর্ত করে তোলা হবে। উৎসবের দ্বিতীয় দিন বিকেলে জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কারপ্রাপ্ত কবির নাম ঘোষণা করবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাত। তিনি বলেন, আয়োজন সফল করার জন্য ২৩টি উপকমিটি নিয়ে উৎসব পরিষদ গঠন করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, উৎসব পরিষদের সভাপতি কবি মুহাম্মদ সামাদ, সাধারণ সম্পাদক কবি তারিক সুজাত ও আহ্বায়ক কবি শিহাব সরকার। এবারের উৎসবের ঘোষণাপত্র লিখেছেন কবি আসলাম সানী। শোক প্রস্তাব পাঠ করবেন কবি আমিনুর রহমান সুলতান। এবারের কবিতা উৎসব উৎসর্গ করা হয়েছে কবি আসাদ চৌধুরী, কবি মোহাম্মদ রফিক, কবি জাহিদুল হক, কবি বুলবুল মহলানবীশ ও কবি হানিফ খানকে।
এবারের উৎসবের পোস্টার, ব্যাকড্রপ, স্যুভেনিরের প্রচ্ছদে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যার ওপর ভারতীয় শিল্পী নীরেন সেনগুপ্তের আঁকা ছবি, ১৯৩৭ সালে পাবলো পিকাসোর আঁকা বিশ্ববিখ্যাত শিল্পকর্ম ‘গোয়ের্নিকা’ ও গাজায় চলমান হত্যাকাণ্ডের ওপর রাশিদ বাউহামিদির শিল্পকর্ম ‘মা ও শিশু’ ব্যবহার করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। উৎসব প্রাঙ্গণে ‘ফ্রি ওয়াই–ফাই’ থাকবে বলেও জানানো হয়।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি মো: লোকমান হোসেন পলা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.