১০ লাখ টন খাদ্যপণ্য রপ্তানি করেছে ইউক্রেন

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্ক এবং জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় শস্য চুক্তির আওতায় ১০ লাখ টন খাদ্যপণ্য রপ্তানি করেছে ইউক্রেন। কৃষ্ণ সাগর বন্দর দিয়ে এসব পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ তথ্য জানিয়েছে।
এক ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, ১৫টি দেশে ৪৪টি জাহাজে করে খাদ্যপণ্য রপ্তানি করা হয়েছে। আগামী কয়েকদিনে আরও প্রচুর পরিমাণে খাদ্যপণ্য বিভিন্ন দেশে পাঠানো হবে। তিনি বলেন, এক মাসে তিন লাখ টন খাদ্যপণ্য রপ্তানির লক্ষ্য রয়েছে কিয়েভের।
এদিকে সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট এবং ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র দিমিত্রি মেদভেদেভ টেলিভিশনের এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ইউক্রেন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোয় যোগদানের আশা ছেড়ে দিলেও এই মুহূর্তে যুদ্ধ থামাতে পারবে না রাশিয়া। গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন আক্রমণের আগেই মস্কো পরিষ্কার জানিয়েছিল, তারা ন্যাটোয় ইউক্রেনীয়দের সদস্যপদ মেনে নেবে না।
একটি ফরাসি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার নিরাপত্তা কাউন্সিলের ডেপুটি চেয়ারম্যান মেদভেদেভ বলেন, উত্তর আটলান্টিক জোটে (ন্যাটো) অংশগ্রহণ থেকে সরে আসা এখনো অত্যাবশ্যক, কিন্তু শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এটি আর যথেষ্ট নয়। তিনি বলেন, লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে যাবে রাশিয়া।
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, তিনি ইউক্রেনকে ‘নব্য নাৎসিদের হাত থেকে মুক্ত’ করতে চান। তবে কিয়েভ ও পশ্চিমাদের দাবি, এটি ইউক্রেন আক্রমণের জন্য পুতিনের ভিত্তিহীন একটি অজুহাত মাত্র।
রাশিয়ার সামরিক বাহিনীতে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই সৈন্য বাড়তে পারে ১ লাখ ৩৭ হাজারের মতো। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ বিষয়ে একটি ডিক্রি জারি করেছেন। এর মাধ্যমে সৈন্যদের নগদ অর্থের প্রণোদনাও দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীতে নিয়মিত সৈন্য রয়েছে ১০ লাখের বেশি। বেসামরিক কর্মকর্তা রয়েছে আরও নয় লাখ।
জানা গেছে, সামরিক বাহিনীর নিয়োগদাতারা রাশিয়ার বিভিন্ন কারাগার পরিদর্শনে যাচ্ছেন। সেখানে কয়েদিদের মুক্তি ও নগদ অর্থের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে।
রুশ প্রেসিডেন্টের জারি করা ডিক্রিতে দেশটির সামরিক বাহিনীতে লোকবল ২০ লাখ ৩৯ হাজার ৭৫৮ জন বলা হয়েছে। এর মধ্যে ১১ লাখ ৫০ হাজার ৬২৮ জন নিয়মিত সৈন্য। (সূত্র: বিবিসি)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.