হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ইমদাদুল হক মিলন ও মাহবুব ময়ূখ রিশাদ

বিশেষ প্রতিনিধি: নন্দিত কথাসাহিত্যিক ও দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন এবং নবীন কথাশিল্পী মাহবুব ময়ূখ রিশাদ এবারের ‘এক্সিম ব্যাংক-অন্যদিন হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার’ পেয়েছেন।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য পুরস্কারের অর্থমূল্য হিসেবে ইমদাদুল হক মিলনকে পাঁচ লাখ টাকা এবং নবীন সাহিত্যিক মাহবুব ময়ূখ রিশাদকে এক লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়। এছাড়াও পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট, উত্তরীয় ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে ইমদাদুল হক মিলনের শংসাবচন পাঠ করেন কথাসাহিত্যিক বিশ্বজিৎ চৌধুরী৷ মাহবুব ময়ূখ রিশাদের শংসাবচন পাঠ করেন পুরস্কারের বিচারকমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক৷
নিজের অনুভূতি প্রকাশকালে ইমদাদুল হক মিলন প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদকে স্মরণ করে বলেন, এই পুরস্কারপ্রাপ্তিতে আনন্দের সঙ্গে আমার মন বিষাদে ছেয়ে আছে৷ তিনি (হুমায়ূন আহমেদ) বড় অকালে চলে গেছেন৷ যদি তিনি বেঁচে থাকতেন, তবে তিনি আরও লিখতেন, বাঙালি পাঠক তার সৃষ্টিশীলতায় উজ্জীবিত হয়ে থাকতো। আমি মন্ত্রমুগ্ধ থাকতাম, আবিষ্ট হয়ে থাকতাম, সেটাই হতো আমার সবচেয়ে বড় পুরস্কার।
কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্মৃৃতিচারণ করেন হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন হুমায়ূন আহমেদের ভাই কার্টুনিস্ট ও লেখক আহসান হাবীব, বাাংলা একাডেমির সভাপতি প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন ও মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন শামা রহমান।
২০১৫ সালে প্রবর্তিত হয় ‘এক্সিম ব্যাংক-অন্যদিন হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার’। উদ্দেশ্য দেশের প্রবীণ ও নবীন- এই দুই শ্রেণির কথাসাহিত্যিকদের অনুপ্রাণিত করা।
প্রথম বছর এই দুটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছিলেন যথাক্রমে শওকত আলী ও সাদিয়া মাহ্জাবীন ইমাম। ২০১৬ সালে পুরস্কৃত হয়েছিলেন হাসান আজিজুল হক ও স্বকৃত নোমান। ২০১৭ সালে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়েছিল জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত ও মোজাফ্ফর হোসেনের হাতে।
২০১৮ সালে পুরস্কৃত হয়েছিলেন রিজিয়া রহমান ও ফাতিমা রুমি। ২০১৯ সালে পুরস্কার পেয়েছেন রাবেয়া খাতুন ও সাদাত হোসাইন। ২০২০ সালে পুরস্কৃত হয়েছেন হাসনাত আবদুল হাই ও নাহিদা নাহিদ। ২০২১ সালে পুরস্কার পেয়েছেন সেলিনা হোসেন ও ফাতেমা আবেদীন। ২০২২ সালে পুরস্কৃত হন আনোয়ারা সৈয়দ হক ও মৌরি মরিয়ম।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি মো: লোকমান হোসেন পলা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.