হিরোশিমার চেয়ে ১৫০ গুণ শক্তিশালী বোমা পরীক্ষা করতে পারেন পুতিন

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেন সীমান্তে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হিরোশিমার চেয়ে ১৫০ গুণ শক্তিশালী বোমা পরীক্ষা করতে পারেন আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, পুতিন ‘পসেইডন’ নামক বিশাল পারমাণবিক টর্পেডো পরীক্ষা করে নিজ দেশের সামরিক সক্ষমতা আরো শক্তিশালী করতে পারেন।
ব্রিটেনের ঊর্ধ্বতন প্রতিরক্ষা সূত্র গত সোমবার লন্ডনে টাইমসকে জানিয়েছে, সামরিক জোট ন্যাটো তার সদস্যদের এবং মিত্রদের একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদন দিয়ে সতর্ক করেছে যে, ক্রেমলিন তথাকথিত ‘ডুমসডে’ পারমাণবিক টর্পেডো ড্রোন পরীক্ষার পরিকল্পনা করছে।
নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, পসেইডন হলো পানির নিচে দিয়ে যাওয়া দূর-পাল্লার পারমাণবিক অস্ত্র। সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে যাত্রা করে দূরের উপকূলীয় শহরগুলোতে আঘাত করার জন্য এটির ডিজাইন করা হয়েছে।
ওই সূত্র টাইমসকে আরো জানিয়েছে, কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেন সীমান্তের কাছে এ ধরনের পরীক্ষা চালানোর আশঙ্কা রয়েছে। পুতিন প্রমাণ করতে পারেন যে, তিনি গণবিধ্বংসী অস্ত্রসহ ‘আমাদের ধ্বংস করে দেওয়ার সমস্ত উপায় ব্যবহার করার’ তার হুমকির বিষয়ে সর্বোচ্চটা করতে আগ্রহী।
রাশিয়ার সামরিক বাহিনী সাবমেরিনভিত্তিক পারমাণবিক টর্পেডোকে যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী এবং অন্যান্য জাহাজগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য কৌশলগত অস্ত্র হিসেবেও তৈরি করেছে।
সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়েছে, অস্ত্রটি দুই মেগাটন ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম। ১৯৪৫ সালে হিরোশিমায় যে বোমা ফেলা হয়েছিল, তার চেয়ে অন্তত ১৫০ গুণ শক্তিশালী এটি।
তবে এটি তৈরির কাজ কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা পরিষ্কারভাবে জানা যায়নি।
একজন পশ্চিমা কূটনীতিক গতকাল মঙ্গলবার রয়টার্সকে বলেছেন, ন্যাটো পসেইডন সম্পর্কিত কোনো সতর্কতা জারি করেনি।
ক্রেমলিন বলেছে, পরমাণু নিয়ে পশ্চিমাদের বাগাড়ম্বর উক্তি এসব। প্রতিবেদনটিকে কার্যত অস্বীকার করেছে ক্রেমলিন। (সূত্র: নিউইয়র্ক পোস্ট)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.