হাবিপ্রবিতে শুরু হলো সফট লোনের চেক বিতরণ কার্যক্রম

হাবিপ্রবি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) অধ্যয়নরত অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন ক্রয়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের মাধ্যমে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সফট লোনের চেক বিতরণ শুরু হয়েছে।
আজ রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের অফিস রুমে দুপুর সাড়ে ১২ টায় এই চেক বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়।
চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড.বিধান চন্দ্র হালদার, এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রফেসর ডাঃ মোঃ ফজলুল হক, জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. শ্রীপতি সিকদার, আইআরটি এর পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ তারিকুল ইসলাম, শরীরচর্চা শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. শাহ মইনুর রহমান, সহকারি প্রক্টর ড. মোঃ রবিউল ইসলাম, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা শাখার সহকারি পরিচালক মোঃ আব্দুল মোমিন শেখ, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা শাখার উপ-পরিচালক মোঃ মাহাবুর রহমানসহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. ইমরান পারভেজ।
প্রধান অতিথি প্রফেসর ড.বিধান চন্দ্র হালদার তার বক্তব্যে বলেন, করোনাকালীন সময়ে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের কষ্টের কথা বিবেচনা করেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আশা করি শিক্ষার্থীরা এই টাকার সঠিক ব্যবহার করবে। আশা করি মোবাইলের অভাবে অনলাইন ক্লাস করতে শিক্ষার্থীদের আর কোনো সমস্যায় পরতে হবে না “।
এ সময় প্রধান অতিথি সুষ্ঠু ও সঠিকভাবে সকল কাজ সম্পন্ন করায় ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা শাখাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এদিকে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. ইমরান পারভেজ তার বক্তব্যে বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা ২৫২৬ জন কে নির্বাচিত করেছিলাম, পরবর্তিতে ইউজিসি এর সিদ্ধান্তের (বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর ১৫%) কারণে ১৬৭০ জন কে নির্বাচন করা হয়।
সফট লোনের শর্ত উল্লেখ করে এই ১৬৭০ জনের কাছে আবার আবেদন করার জন্য আহ্বান করি। প্রথম পর্যায়ে ৯৮৪ জন আবেদন করেছে ,আজ থেকে তাদের চেক প্রদান করা শুরু হলো। বাকিরা (১৬৭০ জনের মধ্যে নাম থাকতে হবে) ১৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ পাবেন।
নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের প্রদানকৃত এই ঋণ সম্পূর্ণ সুদমুক্ত এবং স্মার্টফোন ক্রয়ের ভাউচারটি সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে চেক গ্রহণের ১০ দিনের মাঝে সফটলোন অনুমোদন কমিটি’র সদস্য-সচিবের নিকট জমা দিতে হবে “।
এছাড়া, ইউজিসির নীতিমালা সম্বলিত নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এই ঋণের অর্থ সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর কিংবা অধ্যয়নকালীন সময়ে ৪টি সমান কিস্তিতে বা এককালীন পরিশোধ করতে হবে এবং ঋণের সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর নামে কোন ট্রান্সক্রিস্ট ও সাময়িক/মূল সনদ ইস্যু করা হবে না।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর হাবিপ্রবি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি মোঃ মিরাজুল আল মিশকাত। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.