হাত ঝলসে আহত: সান্তাহারে হোটেলে খাবারের ঝোল চাওয়ায় খদ্দেরকে গরম তেলে নিক্ষেপ


আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: আদমদীঘির সান্তাহারে হোটেলে বিরানী খাবারের সাথে ঝোল চাওয়ায় শ্রী মিঠুন বাঁশফোর (২৩) নামের এক হরিজন সম্প্রদায়ের যুবককে ধাক্কা দিয়ে গরম তেলের কয়রায় ফেলে দেয়ায় ডান হাত ঝলসে যাওয়ার ঘটনা ঘটে।
রোববার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে আদমদমদীঘির সান্তাহার এশিয়া হোটেলের কর্মচারী এ ঘটনা ঘটায়।
পরে গুরুত্বর আহত মিঠুন বাঁশফোরকে উদ্ধার করে প্রথমে আদমদীঘি হাসপাতালে ও পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বার্ণ বিভাগে স্থানান্তর করা হয়েছে। উক্ত মিঠুন বাঁশফোর রাজশাহী হরিজন পল্লীর মদন বাঁশফোরের ছেলে। সে তার বিহায় আদমদীঘির পিন্টু বাঁশফোরের বাড়িতে বেড়াতে আসে।
জানাযায়, শনিবার রাজশাহীর মিঠুন বাঁশফোর তার বিহায় আদমদীঘির মাঝিপাড়া পিন্টু বাঁশফোরের বাড়িতে বেড়াতে আসে। রোববার বিকেল ৪টায় সান্তাহার এশিয়া হোটেলে মিঠুন বাঁশফোর ও তার বিহায় পিন্টু বাঁশফোরসহ তার সঙ্গীরা বিরানী নিতে যায়। তারা বিরানী নেয়ার পর মাংসের ঝোল বেশি চায়।
এ নিয়ে হোটেল কর্মচারী ও হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজনের মধ্যে বাকবিতন্ডার ও মারধরের এক পর্যায়ে জনৈক হোটেল কর্মচারী মিঠুন বাঁশফোরকে ধাক্কা দিলে করায়ে থাকা ফুটন্ত গরম তেলে সে পড়ে যায়। এতে তার ডান হাতের কনুই থেকে কবজী পর্যন্ত পুড়ে ঝলসে যায়। পিন্টু বাঁশফোর জানায়, আমরা হরিজন সম্প্রদায়ের লোক।
আজ আমাদের ভাবাসা দিনছিল। সেই মতে সান্তাহার এশিয়া হোটেলে খাবার নেয়ার পর ঝোল চাওয়ায় কর্মচারীরা লাঠি ও সাবল দিয়ে মারধর করে করায়ের গরম তেলের ফেলে দিয়ে হাত পুড়ে দেয়া হয়েছে। হোটেল মালিক পক্ষের সজিব জানায়, বাকবিতন্ডা হলেও ওই মিঠুন বাঁশফোর নিজেই কয়রার ফুটন্ত তেলে পড়ে যায়।
এ ঘটনায় রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজন সান্তাহার এশিয়া হোটেলের সামে অবস্থান নিয়ে বিচার দাবী জানায়।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম বলেন, বিষয়টি জানার পর ফোস পাঠানো হয়েছে। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সার্পেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.