হাতীবান্ধায় জমির ধান কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত-১০, গ্রেফতার-৫

লালমনিরহাট প্রতিনিধি:  লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ধানকাটাকে কেন্দ্র করে এক সংঘর্ষে উভয়ে পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও আশংকাজনক অবস্থায় ৩ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গত শুক্রবার দুপুরে উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পুবর্ সারডুবী গ্রামে ধনীটারী এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে আটক করে হাতীবান্ধা থানা পুলিশ।
গ্রেফতার কৃতরা হলেন, সাইদুল ইসলাম (৪৫), ইউনুছ আলী(৪৮), আব্দুর রহমান (৫৫), মাহাবুর রহমান(৩৫), নুরইসলাম (৩৩)।
আহতরা হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি পর আশংকাজনক অবস্থায় মাহামুদ হাসান লাবু (৩২), সাইফুল ইসলাম শাকিল (১৯),আবু সাঈদ (৩৮) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত হাফিজুল ইসলাম (৩৫),ভ্যান চালক কালাম হোসেন (৩৫), বাবুল হোসেন(৪০) হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত শুক্রবার উপজেলার পুর্ব সারডুবী গ্রামের আফজাল মোক্তারের ছেলে আবু সাঈদ তার নিজস্ব জমিতে তার ছেলে, ভাইকে নিয়ে ক্ষেতের পাকা ধান কাটা শেষে ধান নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ওই এলাকার মৃত রহমান খানের ছেলে সহিদুল ইসলাম ওই জমি তার নিজের দাবী করে তার লোকজনসহ আবু সাঈদ ও তার ছেলে, ভাই, চাচাকে গতিরোধ করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর ও পাথর নিপে করে আহত করেন।
এ সময় বাবা আবু সাঈদকে বাঁচাতে গেলে তার ছেলে সাইফুল ইসলাম শাকিলকে কুপিয়ে যক্ষম করেন। আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার পর আশংকাজনক অবস্থায় ৩ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আবু সাঈদ চাচাত ভাই খতিব উদ্দিন সাইদুল ইসলামসহ ৯ জনের নাম উল্লোখ্য করে গতকাল রোববার হাতীবান্ধা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
সাইদুল ইসলামের ছেলে হাফিজুল ইসলাম (১৯) বিটিসি নিউজকে বলেন, জমির ধানকাটা নিয়ে সংঘর্ষে হয়েছে। আমি বর্তমানে আহত আছি পরে কথা হবে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর সবুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিটিসি নিউজকে বলেন, এ ঘটনায় উভয়ে গ্রুপের ৫ জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠান হয়েছে। অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর লালমনিরহাট প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান হাসান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.