হবিগঞ্জে নিষিদ্ধ ৭৪ ভেজাল পন্য অবাধে বিক্রি হচ্ছে

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: উচ্চ আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত সেই ৭৪টি ভেজাল পণ্য এখনো বিক্রি হচ্ছে হবিগঞ্জ জেলা সদরসহ প্রতিটি উপজেলার প্রতিটি বাজারেই। শুধু তাই নয়, এসব মানহীন পণ্য বিক্রি বন্ধে উপজেলা প্রশাসনের ব্যাপক প্রচারনা সত্ত্বেও আদালতের নির্দেশনার কথা জানেন না বলেও দাবি করেছেন একাধিক ব্যবসায়ী।

উল্লেখ্য, গত ১৩ মে উচ্চ আদালতের এক আদেশে ৫২ টি মানহীন পণ্য বাতিল ঘোষনা করে ১০ দিনের মধ্যে বাজার থেকে তা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়া হয়। পরবর্তীতে ১১ই জুন নতুন করে আরো ২২টি পণ্য ৭২ ঘন্টার মধ্যে বাজার থেকে তুলে নিতে হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়।

এ আদেশের এতদিন পেরিয়ে গেলেও জেলা সদর ও উপজেলা গুলোতে ঘুরে দেখা যায় এখনও ওইসব নিষিদ্ধ ভেজাল পন্য অবাধে বিক্রি হচ্ছে। এ ব্যাপারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে পাওয়া গেছে ভিন্ন ভিন্ন মত-অভিমত।

উপজেলার বেশিরভাগই বিক্রেতাদের দাবি, আদালতের নির্দেশনার বিষয়ে তাদের সরকারীভাবে বা বাতিলকৃত সেই ৭৪ টি মানহীন পণ্য বা ওইসব কোম্পানির কোনো কিছুই ভাল জানেন না। আর ক্রেতারা ক্রয় করছেন বলেই তারা সেসব পণ্য এখনো বিক্রি করছেন।

তবে কিছু বিক্রেতা বিভিন্ন সংবাদ ও উপজেলা প্রশাসনের লিফলেটের মাধ্যমে আদালতের সেই নির্দেশনার বিষয়ে অবগত থাকার কথা স্বীকার করলেও ওইসব পন্য বিক্রয় বন্ধে তাদের কাছে কোনো কঠোর নির্দেশনা না আসার কারণে তারা সেসব পণ্য এখনও বিক্রি করছেন বলে জানান।

আবার কোন কোন বিক্রেতারা বিটিসি নিউজকে বলেন, বাতিলকৃত ৭৪টি পন্যগুলোর বিষয়ে বেশিভাগই তারা বা সাধারণ (ক্রেতা) জানেনই না। শহরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঘাটিয়া বাজারের এক পাইকারী মুদি ব্যবসায়ী বলেন, টিভি বা পেপার পড়ার সময় পাই না। তবে পণ্য বাতিলের কথা শুনেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো কঠোর নির্দেশনা পাই নি বা যেসব পণ্য বিক্রি করতে বাতিল করা হয়েছে সেগুলো সম্পর্কে। তবে এখনও অনেক কাস্টমার ওইসব পন্য চেয়ে নিচ্ছেন যে কারণেই আমাদের কেউ ওইসব পন্য বিক্রি করতে হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, সেসব কোঃ থেকেও কোন ধরনের ফেরত দিতে বা নিবে বলেও জানানো হয় নি । তবে নির্দেশনা আসলে সেসব পণ্য বিক্রয় বন্ধ করে দেবো। শায়েস্তাগঞ্জের এলাকার মুদি ব্যবসায়ী আফাজ উদ্দিন বলেন, ভেজাল পণ্যগুলো বিক্রি করা থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশনা দিলেও আদালতের আদেশ পালন করছেন না কোনো দোকানদার। যে কারণে ভেজাল পণ্যগুলো দোকান থেকে অপসারণের জন্য আইন প্রয়োগকারী সব সংস্থাকে একযোগে দ্রুত হস্তক্ষেপ গ্রহন করা প্রয়োজন।

এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হক বিটিসি নিউজকে বলেন, এসব ভেজাল পণ্য খেয়েই বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। ইতিপূর্বে উপজেলার দোকানীদের লিফলেট বিতরণ ও সভার মাধ্যমে তা অবহিত করা হয়েছে। তবে এখনও প্রথম দফায় নিষিদ্ধ ৫২টি পন্য বিক্রয় করছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা খুব দ্রুতই নেওয়া হবে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর হবিগঞ্জ প্রতিনিধি মোঃ জুনাইদ চৌধুরী।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.