হবিগঞ্জে কোরবানির প্রস্তুতি, পশু’র ন্যায্য দাম নিয়ে শঙ্কায় খামারিরা

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: আসছে পবিত্র ঈদুল আযহায় বা কোরবানির ঈদে করোনার কারণে পশু বিক্রিতে ন্যায্য দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন হবিগঞ্জের হাজারো খামারি। আর এতে করে দুশ্চিন্তার মধ্য দিয়ে দিন-রাত কাটছে তাদের। খামারিদের শঙ্কা একদিকে করোনা ভয়াল থাবা অন্যদিকে ভারত থেকে যদি গরু আসে তা হলে তাদের ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে জেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের আশা, এবার ভারত থেকে কোন কোরবানির পশু দেশে আসবে না, তাছাড়া জেলায় যে পরিমান কুরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে তা স্থানীয় ভাবে লালন পালন করা পশু দিয়েই পূরণ হয়ে যাবে।

জেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের তথ্যমতে, এবছর হবিগঞ্জ জেলায় প্রায় আড়াই হাজার খামারে কোরবানির পশু বিক্রির জন্য লালন পালন করা হচ্ছে। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে হাওরের ও পাহারের সবুজ ঘাস খাওয়ানো হচ্ছে এসব গরু-ছাগলদের। যে কারণে ক্রেতাদের কাছে দেশীয় এসব গরুর চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। এবারের কোরবানির ঈদে জেলায় ৩৫ হাজার গরু, ১৯৬টি মহিষ, ৭ হাজার ছাগল ও ৩ হাজার ৭৬৬টি ভেড়া কোরবানীর পশু হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এরও চেয়ে বেশি পশু বাজারে উঠবে বলে আশা করছেন তারা। এদিকে, দেশীয় পদ্ধতি গরু মোটাতাজা করে ভালো সফলতা পেলেও কোরবানীর হাট বসানিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছের খামারিরা।

খামার মালিক তাজুল ইসলাম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে কোন প্রকার মেডিসিন ছাড়া তিনি তার খামারে প্রায় ৫০টি পশু লালন পালন করছেন। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ভাল দামের আশায় রয়েছেন তিনি। একই সাথে তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেন, করোনার কারণে এবারের ঈদে কোরবানির পশু বিক্রি কমে যেতে পারে। কারণ অনেকেই কর্মহীন হয়ে দিন যাপন করছেন।

খামারী নুরুল ইসলাম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, এবার খামার মালিকদের সবচেয়ে বড় শঙ্কা করোনাকে নিয়ে। কি ভাবে হাট বসবে আর কি ভাবে বিক্রি করব তাই নিয়ে চিন্তায় রয়েছি। এছাড়াও ন্যায্য দামের সাথে ভারতীয় গরু আসা নিয়ে শঙ্কাতো থাকছেই। তারা বলেন, এবার যদি কোরবানির পশু কেনা বেচায় ন্যায্য দাম না পাওয়া যায় তা হলে তারা পথে বসে যেতে পারেন।

জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের চিকিৎসক নিয়াজ আহমেদ খান চৌধুরী বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, গরু মোটাতাজা করতে খামারীদের সার্বক্ষণিক সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তারা। সেই সাথে প্রতিটি কোরবানির হাটে গরুর চিকিৎসার জন্য মেডিকেল টিম থাকবে বলেও জানান তিনি।

জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, গরুর হাট বসা নিয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তকে শীঘ্রই এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের সাথে আলাপ আলোচনা করা হবে। করোনার কথা মাথায় রেখে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই হাটগুলো বসানো হবে বলেও জানান তিনি। এছাড়াও এবারের ঈদে ভারতীয় কোন পশু আসবে না।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর হবিগঞ্জ প্রতিনিধি মোঃ জুনাইদ চৌধুরী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.