হবিগঞ্জে কোরবানির প্রস্তুতি, পশু’র ন্যায্য দাম নিয়ে শঙ্কায় খামারিরা
জেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের তথ্যমতে, এবছর হবিগঞ্জ জেলায় প্রায় আড়াই হাজার খামারে কোরবানির পশু বিক্রির জন্য লালন পালন করা হচ্ছে। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে হাওরের ও পাহারের সবুজ ঘাস খাওয়ানো হচ্ছে এসব গরু-ছাগলদের। যে কারণে ক্রেতাদের কাছে দেশীয় এসব গরুর চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। এবারের কোরবানির ঈদে জেলায় ৩৫ হাজার গরু, ১৯৬টি মহিষ, ৭ হাজার ছাগল ও ৩ হাজার ৭৬৬টি ভেড়া কোরবানীর পশু হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এরও চেয়ে বেশি পশু বাজারে উঠবে বলে আশা করছেন তারা। এদিকে, দেশীয় পদ্ধতি গরু মোটাতাজা করে ভালো সফলতা পেলেও কোরবানীর হাট বসানিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছের খামারিরা।
খামার মালিক তাজুল ইসলাম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে কোন প্রকার মেডিসিন ছাড়া তিনি তার খামারে প্রায় ৫০টি পশু লালন পালন করছেন। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ভাল দামের আশায় রয়েছেন তিনি। একই সাথে তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেন, করোনার কারণে এবারের ঈদে কোরবানির পশু বিক্রি কমে যেতে পারে। কারণ অনেকেই কর্মহীন হয়ে দিন যাপন করছেন।
জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের চিকিৎসক নিয়াজ আহমেদ খান চৌধুরী বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, গরু মোটাতাজা করতে খামারীদের সার্বক্ষণিক সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তারা। সেই সাথে প্রতিটি কোরবানির হাটে গরুর চিকিৎসার জন্য মেডিকেল টিম থাকবে বলেও জানান তিনি।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.