পিএসজির স্বপ্ন গুঁড়িয়ে ১১ বছর পর ফাইনালে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: ঘরের মাঠে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে হেরে ফাইনালে উঠতে পারল না পিএসজি। চলতি মৌসুম শেষেই কিলিয়ান এমবাপ্পে প্যারিসের ক্লাবকে বিদায় জানাবেন। সে হিসেবে এটাই ঘরের মাঠে তার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তার শেষ ম্যাচ। এমন গুরুত্বপূর্ণ দিনে এমবাপ্পেও করে দেখাতে পারলেন না বিশেষ কিছু। বরং ম্যাটস হুমেলসের কাছেই যেন বন্দি হয়ে ছিলেন এই ফ্রেঞ্চ সেনসেশন।
ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ফ্রেঞ্চ ক্লাবটিকে আরও একবার হারিয়ে দিয়েছে জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। ম্যাটস হুমলসের একমাত্র গোলে ফাইনালে পৌঁছল জার্মান ক্লাবটি। ২০১৩ সালের পর প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলতে যাচ্ছে জার্মান ক্লাবটি। বৃহস্পতিবার রিয়াল মাদ্রিদ এবং বায়ার্ন মিউনিখের মধ্যকার ম্যাচের জয়ী দলের সঙ্গে ফাইনাল খেলবে তারা।
হাইভোল্টেজ এই ম্যাচ যেমন হওয়া দরকার ছিল, প্রথমার্ধ ঠিক তেমনই কেটেছে। দুই দলই ব্যস্ত ছিল একের পর এক আক্রমণ রচনায়। গোলমুখে খুব বেশি শট না এলেও দুই দলই একে অন্যের ডিবক্সে রীতিমত ভয় ছড়িয়েছে পুরোটা সময় জুড়ে। তবে এদের মাঝে পিএসজিই খানিক এগিয়ে ছিল। ওসমান ডেম্বেলে একাধিকবার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। আবার ভিতিনহার দূরপাল্লার একেকটি শটও ছিল ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি।
ম্যাচের ২৫ মিনিটে সত্যিই এগিয়ে যেতে পারত পিএসজি। প্রতিপক্ষের ছোট বক্সের সামনে দারুণ একটা বল বাড়ানো হয়েছিল এমবাপ্পের উদ্দেশ্যে। বল পাওয়া মানেই ছিল। সেসময় পেছন থেকে দুর্দান্ত এক ট্যাকেলে দলের বিপদ মুক্ত করেছিলেন ডর্টমুন্ডের এক ফুটবলার।
পরের মুহূর্তেই অবশ্য ডর্টমুন্ডের করিম আদিয়েমি গোল পেতে পারতেন। তবে পিএসজি গোলরক্ষকের দারুণ সেইভ গোলবঞ্চিত করে তাদের। শেষদিকে আরও কিছু আক্রমণ হলেও সেটি গোলের জন্য যথেষ্ট ছিল না।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে নেমেই ম্যাচ থেকে পিএসজিকে অনেকটা ছিটকে দেন ডর্টমুন্ডের অভিজ্ঞ জার্মান তারকা হুমেলস। কর্নার চলাকালে একেবারেই ফাঁকা ছিলেন এই ডিফেন্ডার। সামান্য লাফিয়ে উঠে হেড করেন। তাতেই আসে গোল।
গোল হজমের পর একাধিক পরিবর্তন আনে পিএসজি। তবে হুমেলস আর নিকো স্লটারব্যাকের গড়া দুর্দান্ত ডিফেন্স আরও একদফা হতাশ করেছে তাদের। গোলবারের নিচে ডর্টমুন্ড গোলরক্ষ কোবেলও ছিলেন অবিচল।
এদিনের হারে ভাগ্যকেও কিছুটা দুষতে পারে পিএসজি। দ্বিতীয়ার্ধেই দুবার গোলপোস্টে বল বারে লেগে ফিরে এসেছে তাদের। সেইসঙ্গে মলিন হয়েছে তাদের ফাইনাল খেলার স্বপ্ন। ম্যাচের ৮৪তম মিনিটে এমবাপ্পের শট গোলপোস্টে লেগে চলে যায় বাইরে। ৮৭তম মিনিটে আবারও হতাশা। এ দফায় ভিতিনহার দূরপাল্লার শটও ফেরে গোলপোস্টে লেগেই।
অতিরিক্ত সময়ে এসেও চলতে থাকে পিএসজির দাপট। এমবাপ্পে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে একা পেয়েও হয়েছেন ব্যর্থ। শেষ পর্যন্ত প্রথম লেগে ফুলক্রুগ আর দ্বিতীয় লেগে হুমলসের গোলের কল্যাণে ২-০ গোলের অগ্রগামিতায় ফাইনালের টিকিট কাটে ডর্টমুন্ড। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.