হত্যা মামলার রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়ে সুন্দরগঞ্জে এমপি লিটনের মৃত্যু বার্ষিকী পালিত

গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: হত্যা মামলার আসামীদের ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়ে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের ৩য় মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
এমপি লিটনের ৩য় মৃত্যু বার্ষিকীতে সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গায় আজ মঙ্গলবার দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল কোরান  খতম, মিলাদ মাহফিল, কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও স্মরণসভা। প্রয়াত এমপি লিটনের স্ত্রী সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতি ও পুত্র সাকিব সাদনান রাতিনের পক্ষ থেকে এসব কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
সাহাবাজে আশরাফ আলী হিমাগার চত্বরে সুন্দরগঞ্জ ডি ডব্লিউ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ একে হাবিব সরকারের সভাপতিত্বে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন, মেহেদী মোস্তফা মাসুদ, আতাউর রহমান, সাদেকুল ইসলাম দুলাল, কিরীটি ঠাকুর, সাজেদুল ইসলাম, নুরুন্নবী প্রামাণিক, মঞ্জুরুল ইসলাম বকুল, নাসরিন সুলতানা, শ্যামলী আক্তার, তৌফিকুর রহমান আইনী মুকুট, প্রয়াত এমপি লিটনের সহধর্মিণী সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতি প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন ফয়সাল সাকিদার আরিফ।
এর আগে সাহাবাজ মাস্টারপাড়ার নিজ বাড়িতে এমপি লিটনের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন আওয়ামী, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন।
উলে­খ্য, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গার সাহাবাজ মাস্টারপাড়ার নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের তৎকালীন জাতীয় সংসদ সদস্য (এমপি) মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন।
এমপি লিটন হত্যাকাণ্ডের পর দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে একটি অস্ত্র ও অপরটি হত্যা মামলা। গত ২৮ নভেম্বর গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালত সাতজন আসামিকে ফাঁসির আদেশ দেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আবদুল কাদের খান, তার ভাতিজা মেহেদি, পিএস শামছুজ্জোহা, গাড়িচালক আব্দুল হান্নান, ডিস ব্যবস্যায়ী শাহীন, রানা ও চন্দন কুমার রায়।
এছাড়াও অস্ত্র মামলায় একমাত্র আসামী আবদুল কাদের খানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর গাইবান্ধা প্রতিনিধি মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.