হংকংকে উড়িয়ে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান

 

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: ভারত ও পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী দুটি দলের সঙ্গী হওয়ায় এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্ব থেকে হংকংয়ের বিদায় অনেকটা অনুমিতই ছিল। ব্যবসায়ী, ছাত্র ও ডেলিভারিম্যানের সমন্বয়ে গঠিত দলটি বড় ধরনের কোনো অঘটন ঘটাতে পারেনি। ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হারের পর তারা পাকিস্তানের বিপক্ষে পাত্তাই পায়নি। ১৫৫ রানের বড় ব্যবধানে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছে নিজাকাত বাহিনী। অলআউট হয়েছে মাত্র ৩৮ রানে। হংকংয়ের বিদায়ে চতুর্থ ও শেষ দল হিসেবে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের টিকিট পেল পাকিস্তান।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ২ ওভারে ১৬ রান তুলে হংকং। এরপর রীতিমতো উইকেটের মিছিল চলতে থাকে। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই বিদায় নেন নিজাকাত। নাসিম শাহের শিকার হওয়ার আগে ১২ বলে তিনি করেন ৮ রান। ওয়ানডাউনে নামা বাবর হায়াত ৪ বল মোকাবিলা করেও স্কোর বোর্ডে কোনো রান যোগ করতে পারেননি। তিনিও নাসিমের বলেই পরাস্ত হন।
আইজাজ খান দেখে দেখে ৫ বল খেলে ১ রান করলেও পরের বলেই উইকেট বিলিয়ে দেন, উল্লাসে মাতেন শাদাব খান। এরপর দলীয় ৩০ রানে কিঞ্চিৎ শাহ, ৩১ রানে স্কট ম্যাককিনি ও ৩৬ রানে হারুন আরশাদ প্যাভিলিয়নে ফেরেন। এদের মধ্যে কিঞ্চিৎ ও ম্যাককিনির উইকেট নেন মোহাম্মদ নেওয়াজ। বাকিদের মধ্যে জিশান আলি ৩ ও আয়ুশ শুকলা ১ রান করেন।
শুরুতে ব্যাট করে ১৯৩ রান করে পাকিস্তান। এটি এবারের এশিয়া কাপের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। পাকিস্তানের বিপক্ষে ইনিংসের প্রথম ওভারটি দুর্দান্তভাবে শেষ করেন হারুন আরশাদ। ৪টি ডট বল দেন তিনি, খরচ করেন মাত্র ২ রান। পরের ওভারে পাকিস্তান তুলে ৫ রান। হংকং অধিনায়ক নিজাকাত খান পরের ওভার করতে ডাকেন এহসান খানকে। প্রথম ২ বলে ২ রান দিলেও তৃতীয় বলে এহসান তুলে নেন বাবর আজমকে। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নেন তিনি। আউট হওয়ার আগে পাকিস্তান দলপতি ৮ বলে করেন ৯ রান।
বাবর আজম আউট হয়ে গেলে ক্রিজে আসেন ফখর জামান। রিজওয়ানের সঙ্গে জুটি বেঁধে পাওয়ার প্লে শেষে মন্থর গতির ব্যাটিংয়ের বাইরে যেতে পারেননি তিনি। পাওয়ার প্লে শেষে স্কোর বোর্ডে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪০ রান। গাজানফারের করা নবম ওভারে ফখরকে আউট দেন আম্পায়ার। তবে পাকিস্তানি ব্যাটার রিভিউ নিলে দেখা যায় বলটি লেগ স্টাম্পের বাইরে পিচ করেছে, ফখরও বেঁচে যান, ফিরতে হয়নি প্যাভিলিয়নে।
দলীয় ১৪তম ওভার থেকে কিছুটা মেরে খেলতে চেষ্টা করে রিজওয়ান ও ফখর জুটি। দুজনই পান হাফসেঞ্চুরির দেখা। ৪২ বলে অর্ধশত পূর্ণ করেন রিজওয়ান। ৪১ বলে ৫৩ রান করে ফখর আউট হন এহসান খানের বলে। তার ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ২টি ছয়ের মার। শেষ পর্যন্ত ৭৮ রানে অপরাজিত থাকা রিজওয়ানের ৫৭ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৬টি চার ও একটি ছয়ের মার। খুশদিল শাহের ব্যাট থেকে ১৫ বলে আসে ৩৫ রান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.