স্যুটকেসে দুই শিশুর দেহাবশেষ : মা গ্রেপ্তার দ. কোরিয়ায়

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্কগত মাসে নিউজিল্যান্ডে স্যুটকেস থেকে মানুষের দেহাবশেষ পাওয়ার ঘটনায় বৃহস্পতিবার এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ। ওই নারীকে তার দুই সন্তান হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিউজিল্যান্ডের বৃহত্তম শহর অকল্যান্ডের এক বাসিন্দা গত মাসে পরিত্যক্ত হিসেবে নিলাম থেকে একটি স্যুটকেস কেনেন।
স্যুটকেস থেকে মানুষের দেহাবশেষ পাওয়া গেলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এমন ঘটনা পুরো দেশকে হতবাক করেছিল।
পুলিশের তথ্য মতে, নিহতদের বয়স সাত ও দশ বছর। মৃতদেহগুলো কয়েক বছর ধরে সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তাকে গ্রেপ্তার করতে আন্তর্জাতিক ইন্টারপোলের পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর উলসানের একটি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তদন্তকারীরা ওই নারীর অবস্থান সম্পর্কে জানার পর তাকে গোপন নজরদারিতে রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছে সিউলের ন্যাশনাল পুলিশ এজেন্সি।
অভিযুক্ত নারীকে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ফিরিয়ে আনতে নিউজিল্যান্ড ইতিমধ্যে আবেদন করেছে এবং হত্যার অভিযোগ থাকায় সন্দেহভাজনকে নিউজিল্যান্ডে ফেরত পাঠানোর আগে তার জামিন নাকচ করার অনুরোধ করেছে পুলিশ।
অকল্যান্ডের পুলিশ জানিয়েছে, তারা এই নারী খুঁজে বের করতে দক্ষিণ কোরিয়ার কর্তৃপক্ষের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে। এর আগে গত মাসে অকল্যান্ডের পুলিশ জানিয়েছিল যে তারা বিশ্বাস করে সন্দেহভাজন নারী দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থান করছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, শিশুদের হত্যা করার পর ওই নারী ২০১৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় পালিয়ে গিয়েছিলেন। ৪২ বছর বয়সী এই নারী একজন কোরিয়ান বংশোদ্ভূত নিউজিল্যান্ডের নাগরিক।
গত মাসে নিউজিল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছিল যে তারা শিশুদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে এবং সন্দেহভাজন নারীর সন্ধান করছে। তবে তখন তারা কোনো নাম প্রকাশ করেনি।
বৃহস্পতিবার নিউজিল্যান্ড পুলিশের গোয়েন্দা পরিদর্শক তোফিলাউ ফামানুইয়া ভায়েলুয়া বলেছেন, ‘এত অল্প সময়ের মধ্যে বিদেশের মাটিতে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে কোরিয়ান কর্তৃপক্ষের সহায়তা এবং নিউজিল্যান্ড পুলিশের ইন্টারপোল কর্মীদের সমন্বয়ের কারণে। ’
দক্ষিণ কোরিয়ার স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, পরিবারটি কয়েক বছর ধরে অকল্যান্ডে বসবাস করছিল। মারা যাওয়া শিশুদের বাবা তাদের মৃত্যুর আগে ক্যান্সারে মারা যান। তবে তাদের দাদা-দাদি এখনো নিউজিল্যান্ডে থাকেন।
নিলাম থেকে স্যুটকেস কেনা পরিবারের সাথে মৃত্যুর কোনো সম্পর্ক ছিল না, নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ডের পুলিশ। তারা স্যুটকেসে দেহাবশেষ আবিষ্কারের পর খুব কষ্ট পেয়েছিল। (সূত্র: বিবিসি)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.