স্বাভাবিক হতে চলেছে দূরপাল্লার ট্রেন পরিষেবা

কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি: করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় ২০২০সালের মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মাননীয় নরেন্দ্র মোদী। বন্ধ হয়ে যায় দূরপাল্লার সহ একাধিক রেল পরিষেবা।
লকডাউনে বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পরা পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য চালু হয় স্পেশাল ট্রেন পরিষেবা। তার কয়েক সপ্তাহ পর থেকে শুরু হয় যাত্রীদের জন্য স্পেশাল ট্রেন পরিষেবা যা স্বাভাবিক ট্রেন পরিষেবা থেকে যথেষ্ট কম। প্রযোজ্য হয় স্পেশাল ট্রেনের জন্য ‘স্পেশাল চার্জ ‘।
বর্তমানে দেশের করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো। ফলে স্পেশাল ট্রেন বন্ধ করে আগের মতই স্বাভাবিক ট্রেন পরিষেবায় ফিরতে চলেছে ভারতীয় রেল।তাতে আর লাগবে না অতিরিক্ত ভাড়া।
তবে ট্রেন পরিষেবা চালু হলেও এখুনি কোনও কনসেশন বা ক্যাটারিং পরিষেবা পুনরায় চালু করা হবে কি না সেই ব্যপারে নির্দিষ্ট করে রেল আধিকারিকেরা বলতে পারেন নি।
শেষ পর্যন্ত ট্রেন পরিষেবা চালু হলে ১হাজার ৭০০ট্রেন বেশী চলবে বলে জানান রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক।
তথ্যাভিজ্ঞ মহলের ধারণা, ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক করা নিয়ে সরকারিভাবে এই বার্তাই দেওয়া হচ্ছে যে, দেশজুড়ে ক্রমশ স্তিমিত হচ্ছে করোনার প্রকোপ। কারণ করোনা মহামারিকে ঢাল করে বন্ধ ছিল স্বাভাবিক যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা।
গতকাল রেলবোর্ড জানায়,’বর্তমান সিদ্ধান্ত অনুসারে,দূরপাল্লার ও স্বল্পদৈর্ঘের মেল,এক্সপ্রেস কিংবা হলিডে স্পেশাল কোনও ট্রেনেই আর ‘স্পেশাল ‘তকমা থাকবে না। করোনা পূর্ববর্তী সময়ের মতই এগুলি চলবে নির্দিষ্ট টাইম টেবিল মেনে। তবে এখনই অসংরক্ষিত টিকিট কেটে উঠতে পারবেন না যাত্রীরা। জেনারেল কামরাতেও আসন সংরক্ষণ (সেকেন্ড ক্লাস বা সেকেন্ড সিটিং) করতে হবে’।
রেল জানিয়েছে, ট্রেন যাত্রায় কোভিড প্রোটোকল যাতে আগের মতোই বজায় থাকে সেই কারণেই এই ব্যবস্থা বহাল রাখা হচ্ছে।
খুব শীঘ্রই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে যাত্রীদের জানিয়ে দেওয়া হবে কবে থেকে কার্যকর হচ্ছে পরিষেবা কারণ সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যারে কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন,তাই কয়েকটাদিন সময় লাগবে
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি স্বপন দেব। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.