স্পিরিট-উত্তেজক ট্যাবলেট সেবনে প্রাণ গেলো সেই ৩ বন্ধুর

ক্রাইম (পাবনারিপোর্টার: পাবনা শহরের চক ছাতিয়ানীর মোল্লাপাড়া মহল্লায় তিন বন্ধুর মৃত্যু মদপানে হয়নি বলে জানিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের গোয়েন্দা বিভাগের তদন্তকারীরা।
আজ বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) তারা জানিয়েছেন, স্পিরিটসহ এক ধরনের মিশ্রিত মাদক সেবনে তারা প্রাণ হারিয়েছেন।
এর আগে, গত শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে রবিউল ইসলাম রুমন (৩৫), জনি (৩০) ও রুবেল (৩২) মারা যান। একই ঘটনায় অসুস্থ অবস্থায় দুজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সবুজ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং রতন পাবনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
গত বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে পাঁচ বন্ধু মিলে শহরের বড় বাজার এলাকা থেকে সংগ্রহ করে ওই মাদকদ্রব্য পান করেন। এ ঘটনার পর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর নড়েচড়ে বসে। তদন্তে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করা হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।
রাজশাহী বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী পরিচালক রওনক আক্তার মিতু বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকা সবুজের জবানবন্দি নিয়েছি। সবুজ জানিয়েছে, রুমন পাবনার বড় বাজার থেকে একটি পলিথিনে ৫০০ মিলি সাদা এক ধরনের তরল নিয়ে আসেন। সম্ভবত এটা স্পিরিট হবে। এরপর তারা চক ছাতিয়ানীর মোল্লাপাড়ার একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে একসঙ্গে হয়ে ঘুমের ওষুধ, কোক ও যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট অল্প পরিমাণে ওই তরলের সঙ্গে মিশিয়ে পান করেন। পরে বিরিয়ানি ও চিপস খান। এরপর থেকে অসুস্থতা বোধ করেন।’
এদিকে, পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শহিদুলের জবানবন্দি নেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সদর সার্কেলের পরিদর্শক শাহ জালাল। তিনি জানান, তারা মদ পান করেননি। শহিদুল রুমনের সঙ্গে শহরের বড় বাজার যান। তাকে মোড়ে দাঁড় করিয়ে ভেতর থেকে একটি পলিথিনে স্পিরিট আনেন রুমন। এরপর তারা পাঁচ জন ঘুমের বড়ি, কোক ও যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট পানির সঙ্গে মিশিয়ে সেবন করেন। পরে বিরিয়ানি ও চিপস খাওয়ায় গ্যাসের কারণে বুক জ্যাম হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
হাসপাতালে বিছানায় শুয়েই রুমন, জনি ও রুবেলের মৃত্যুর কথা শুনে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন শহিদুল ও সবুজ। এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় তারা দুজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। জবানবন্দিতে তারা আরও বলেন, ‘কেউ যেন এমনভাবে মাদক বানিয়ে না খায়। খুব কষ্ট পেয়েছি, মৃত্যুর যন্ত্রণা যে কী তা খুব কাছ থেকে দেখেছি।’
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের তদন্তে পাওয়া এসব তথ্য ও জবানবন্দি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ক্রাইম (পাবনারিপোর্টার মো: ময়নুল ইসলাম লাহিড়ী মিন্টু। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.