সৌদি বাদশাহর ভাই আজিজসহ প্রভাবশালী তিন প্রিন্স আটক

ছবি: সংগৃহীত

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশে তার চাচা আহমেদ বিন আবদুল আজিজসহ প্রভাবশালী তিন প্রিন্সকে আটক করা হয়েছে বলে খবর বেরিয়েছে। গতকাল শুক্রবার (০৬ মার্চ) স্থানীয় সময় সকালে তাদের আটক করা হয়। তবে কী কারণে তাদেরকে আটক করা হয়েছে তা জানা যায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে আজ শনিবার (০৭ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

নিউইয়র্ক টাইমস ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল যে তিন প্রিন্সকে আটকের খবর দিয়েছে তাদের মধ্যে দুজন সৌদি আরবের ক্ষমতা কাঠামোতে বেশ প্রভাবশালী। তারা হলেন- বাদশার কনিষ্ঠ ভাই প্রিন্স আহমেদ বিন আবদুল আজিজ এবং সাবেক ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন নায়েফ।

এর বাইরে যাকে গ্রেপ্তারের কথা শোনা যাচ্ছে তিনি হলেন- মোহাম্মদ বিন সালমানের আরেক চাচাত ভাই, যার নাম প্রিন্স নাওয়াফ বিন নায়েফ।

খবরে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে ক্রাউন প্রিন্সের আদেশের পর দেশটির কয়েক ডজন প্রভাবশালী ব্যক্তি, রাজনীতিক, মন্ত্রী ও ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে রিয়াদের রিটজ-কার্লটন হোটেলে রাখা হয়েছিল। ওই বছর থেকেই নায়েফকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছিল বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। নায়েফ এক সময় সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও ছিলেন।

২০১৬ সালে বাদশা সালমান ভাতিজা নাওয়াফকে সরিয়ে ছেলে মোহাম্মদকে ক্রাউন প্রিন্স বানিয়েছিলেন। বাদশার ভাই আহমেদ বিন আবদুল আজিজও রাজপরিবারের মধ্যে ব্যাপক প্রভাবশালী। তার সঙ্গে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদের দূরত্বের কথাও পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোতে এসেছে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে ষড়যন্ত্রের অভিযোগেই শুক্রবার তিন প্রিন্সকে গ্রেপ্তার করার কথা বলা হয়েছে। মাস্ক ও কালো পোশাক পরিহিত নিরাপত্তারক্ষীরা সকালের দিকে এ তিন প্রিন্সের বাড়িতে গিয়ে সেখানে তল্লাশি চালিয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।

ক্রাউন প্রিন্স হওয়ার পর থেকে সৌদি আরবের রক্ষণশীল সমাজে উদারনীতির হাওয়া বইয়ে দেওয়া একের পর এক প্রতিশ্রুতি ও বাস্তবায়ন শুরু করায় বিশ্বজুড়েই মোহাম্মদ বিন সালমানের জনপ্রিয়তা বাড়ছিল। কিন্তু ইয়েমেনে যুদ্ধ-অবরোধ ও ২০১৮ সালে তুরস্কে সৌদি দূতাবাসে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার ঘটনায় তাতে ভাটা পড়ে।

খাশোগি হত্যায় সৌদি ক্রাউন প্রিন্সই নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে ধারণা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার। সৌদি রাজপরিবার অবশ্য শুরু থেকেই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.