সোলেদার দখলের পর এবার বাখমুতের দিকে যাচ্ছে রুশ সেনারা

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রুশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট এবার ইউক্রেনের বাখমুত শহরের দিকে এগিয়ে চলছে। উদ্দেশ্য বাখমুত দখল করা। এরই মধ্যে তারা বাখমুতের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
বুধবার দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকের (ডিপিআর) ভারপ্রাপ্ত প্রধান ডেনিস পুশিলিন বলেছেন।
ডিপিআরের তথ্যমতে, ‘আর্টিওমভস্কে, ওয়াগনার প্রাইভেট মিলিটারি কোম্পানির আক্রমণকারী দলগুলো যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে, পরিস্থিতি বেশ উত্তেজনাপূর্ণ রয়েছে, তবে ছেলেরা এগিয়ে যাচ্ছে।’
এদিকে রাশিয়ার ওয়াগনার প্রাইভেট মিলিটারি কোম্পানির প্রধান দাবি করেছেন, তার যোদ্ধারা, যারা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে পূর্ব ইউক্রেনের সোলেদার শহর মুক্ত করেছে। মূল শহর বাখমুতের দক্ষিণ-পশ্চিমে ইউক্রেনের শক্তিশালী ঘাঁটি ক্লিশচিভকা গ্রাম দখল করেছে।
এ গ্রাম হারানোর ফলে ইউক্রেনের বাখমুত ধরে রাখার ক্ষমতা বিঘ্নিত হবে, শহরে তাদের সরবরাহ লাইন বিচ্ছিন্ন হতে পারে। বাখমুত সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রাশিয়ান আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। কারণ রাশিয়া পূর্ব ইউক্রেনের সমগ্র দোনবাস এলাকা দখল করার জন্য তার চাপ অব্যাহত রেখেছে। শহরটি ইউক্রেনীয় প্রতিরোধের প্রতীকও হয়ে উঠেছে।
বাখমুতের দক্ষিণে একটি ছোট গ্রাম ক্লিশচিভকা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তীব্র লড়াইয়ের স্থান হয়ে উঠেছে। ইউক্রেনীয় বাহিনী এটিকে বাখমুতের প্রতিরক্ষার জন্য চাবিকাঠি বলে মনে করেছিল। কারণ এটি শহরের রাস্তার সরাসরি পূর্বে উচ্চ মাটিতে অবস্থিত, যা ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে।
‘রুশরা সর্বত্র আমাদেরকে পেছনে ঠেলে দিচ্ছে,’ মঙ্গো নামে বাখমুতে অবস্থানরত ইউক্রেনের পক্ষে যুদ্ধরত একজন সেনা বলেছেন।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, বাখমুতের আশপাশে ২০ হাজারেরও বেশি রুশ সেনা রয়েছে, যার মধ্যে ওয়াগনার যোদ্ধা এবং রাশিয়ার অভিজাত বিমানবাহী ইউনিট রয়েছে। ক্লিশচিভকা থেকে, রাশিয়ান আর্টিলারি আরও সঠিকভাবে ইউক্রেনীয় বাহিনীর ওপরে গোলাবর্ষণে সক্ষম হবে। এবং যদি রুশ বাহিনী বাখমুতের গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ রুটগুলোকে বিচ্ছিন্ন করতে বা সরাসরি হুমকি দিতে শুরু করে, ইউক্রেনীয় সেনারা সম্ভবত শহর থেকে প্রত্যাহার করতে বাধ্য হবে বা ঘেরাওয়ের মধ্যে পড়ার ঝুঁকি নেবে।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনী আর্টিওমভস্ক (বাখমুত) এবং সোলেদার এলাকায় ১৪ ব্রিগেড সেনা নিয়োগ করেছে। সেখানে রাশিয়ান বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে তারা ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ সেনা সদস্য হারিয়েছে। (সূত্র: বিবিসি, তাস নিউজ)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.