সেভেরোদনেৎস্ক কেন রাশিয়ার কাছে এত গুরুত্বপূর্ণ?

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পূর্ব ইউক্রেনের সেভেরোদনেৎস্ক শহরের রুশ বাহিনীর সঙ্গে তীব্র লড়াই চলছে। পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের জন্য চেষ্টা করছে দুই পক্ষ। ইতোমধ্যে শহরটির ৭০ শতাংশ এলাকাই নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রুশ বাহিনী।
তারা শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে ইউক্রেনীয়সৈন্যদের। শহরটির চারদিকেই খণ্ডযুদ্ধ চলছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। তবে দোনেৎস্কের একজন রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদী সামরিক নেতা এদুয়ার্ড বাসুরিন বলেছেন, সেভেরোদনেৎস্কে যে ইউক্রেনীয় সৈন্যরা আছে, তাদের সামনে বিকল্প হচ্ছে— ‘হয় আত্মসমর্পণ নয় মৃত্যু।’
সেভেরোদনেৎস্ক কেন গুরুত্বপূর্ণ?
এই শহরটিকে দখল করার ওপর রাশিয়া খুবই গুরুত্ব দিচ্ছে কারণ সেভেরোদনেৎস্ক এবং এর সংলগ্ন আরেকটি শহর লিসিচানস্ক মিলে পুরো জায়গাটি হচ্ছে শিল্পকারখানাসমৃদ্ধ একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক কেন্দ্র।
এই দুই জোড়া শহর দখল করতে পারলে রাশিয়ার হাতে লুহানস্ক অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ চলে আসবে। এই অঞ্চলের কিছু অংশ ইতোমধ্যেই রুশ সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে আছে।
এই লুহানস্ক এবং পার্শ্ববর্তী ডোনেৎস্ক – যা দক্ষিণ ইউক্রেনের মারিউপোল থেকে উত্তরে রুশ সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত – মিলেই হচ্ছে দনবাস অঞ্চল, যা রাশিয়া তাদের ভাষায় মুক্ত করতে চায়, এবং এটা হচ্ছে প্রেসিডেন্ট পুতিনের শীর্ষ অগ্রাধিকার।
আর মার্কিন কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন যে দনবাসে রাশিয়া যদি সাফল্য পায় – তাহলে মস্কো পুরো এলাকাটিকেই একসময় নিজের অংশ করে নেবে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, তার বাহিনী প্রতি মিটার মাটির জন্য লড়াই করে যাবে এবং তিনি আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার জন্য বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
স্বঘোষিত দোনেৎস্ক গণপ্রজাতন্ত্রের একজন সামরিক প্রতিনিধি এদুয়ার্ড বাসুরিন বলেছেন, সেভেরোদনেৎস্কে যে ইউক্রেনীয় সেনারা আছেন, তাদের অবশ্যই আত্মসমর্পণ করতে হবে, নয়তো মরতে হবে।
মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, ইউক্রেনের সৈন্যরা এ শহর থেকে বের হতে পারবে না। কারণ সবশেষ সেতুটিও এর মধ্যে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.