সেই ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ইভার অসহায় বাবার পাশে সকলেই, নগরীতে বিভিন্ন সংগঠনের মানববন্ধন

বিশেষ প্রতিনিধি: আজকে সেই অসহায় বাবার পাশে সবাই দাঁড়িয়েছে। নগরীতে বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুন) ২০২০ ইং মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। রাজশাহীতে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ইভা ধর্ষণ ও আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলার আসামীদের গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন করে বিভিন্ন মানবাধিকার এবং সামাজিক সংগঠন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সাহেব বাজার প্রেসক্লাব চত্বরে আয়োজিত কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন, বিশিষ্ট কলামিস্ট প্রসান্ত কুমার সাহা। এতে বক্তব্য রাখেন, ভিকটিম ইভার অসহায় বাবা মো. সেলিম হোসেন, জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির বিভাগীয় প্রধান অ্যাডভোকেট দিল সেতারা চুনি, রাজশাহী প্রেসক্লাব ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক সাইদুর রহমান, মহিলা পরিষদ জেলা সম্পাদক অঞ্জনা সরকার, পরিবর্তনের পরিচালক রাশেদ রিপন, জাতীয় পার্টির নেতা সালাউদ্দিন মিন্টু এবং অঙ্কুর মহিলা সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক তারিনা সুলতানা।

কর্মসূচি থেকে প্রধান আসামী এখলাস আলী ও তার বাবা আবুল কাশেমকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। পরে আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

ইভা খাতুনকে এখলাস আলী ধর্ষণ করেছেন। আর সেই অপমানেই গত বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) ২০২০ ইং রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার রামজীবনপুর গ্রামে সে আত্মহত্যা করে। দুই মাসেও কোনো আসামী গ্রেফতার না হওয়াতে গতকাল বুধবার (১০ জুন) ইভার বাবা সেলিম হোসেন পুঠিয়াতে একাই একটি ব্যানার নিয়ে আসামীদের গ্রেফতারের দাবি জানায়।

এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) ২০২০ ইং রাতে সেলিম বাদী হয়ে মেয়ে জামাইসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান আসামি এখলাস আলী ও তার বাবা আবুল কাশেম এখনো পলাতক রয়েছেন। এখলাসের মা জরিনা বেগমকে (৪৮), আটক করা হয়।

ঘটনার প্রায় তিন মাস আগে উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের হলহোলিয়া গ্রামের এখলাস আলীর সঙ্গে সেলিমের বড় মেয়ের বিয়ে হয়। বড় মেয়ের শ্বশুর-শাশুড়ি বেড়াতে গেলে বাড়িতে বড় মেয়ে একা হয়ে যায়। দুই বোন একসঙ্গে থাকলে ভালো হয় জানিয়ে জামাই এখলাস আলী এসে ছোট মেয়েকেও নিয়ে যান। ছোট মেয়ে তার বোনের বাড়িতে প্রায় এক সপ্তাহ থাকে। এরপর সে বাড়ি আসে, তখন থেকে সে কারো সঙ্গে তেমন কথা বলত না। সারাটা দিন ঘরে থাকত, একপর্যায়ে সে তার মাকে ঘটনাটি খুলে বলে।

মেয়ে জানায়, এখলাস তাকে ফলের জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ করতেন। সর্বশেষ লজ্জায় গত বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) ২০২০ ইং ঘরের চালের বাঁশের সাথে ওড়না পেচিয়ে নাবালিকা ইভা খাতুন আত্মহত্যা করে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি রুহুল আমীন খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.