সেই ইবাদত তোপেই বিপর্যস্ত নিউজিল্যান্ড

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: প্রথম ইনিংসে ভাল বল করেও উইকেটশূন্য থাকা তাসকিন আহমেদের হাত ধরেই এল প্রথম সাফল্য। এরপর গতিময় বোলিংয়ে ইবাদত হোসেন নিলেন দ্বিতীয়টি। উইকেট পেতে পারতেন মেহেদী হাসান মিরাজও। তবে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি লিটন দাস ও সাদমান ইসলাম। তবে শেষ বিকেলে সেই ইবাদতের তোপের মুখেই পরপর ৩ উইকেট হারিয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নিউজিল্যান্ড।
আজ মঙ্গলবার (০৪ জানুয়ারি) মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের চতুর্থ দিনের শেষ সেশনে ব্যাট করতে থাকা স্বাগতিকদের সংগ্রহ এখন ৪ উইকেটে ১৩৬ রান। যাতে বাংলাদেশকে আবারও ব্যাটিংয়ে পাঠাতে ৬ রানে এগিয়ে গেল কিউয়িরা।
ইনিংসের ৫৪তম ওভারে তিন বলের ব্যবধানে উইল ইয়াং ও হেনরি নিকোলসকে সরাসরি বোল্ড করে নিজের জাত চেনান এই পেসার। এর এক ওভার পর এসে আবারও আঘাত হানেন ইবাদত। এবার তাঁর শিকার নতুন ব্যাটার টম ব্লান্ডেল। লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি এই কউয়ি। ফেরেন শূন্য রানেই।
যাতে ওই ১৩৬ রানেই পঞ্চম উইকেট হারায় স্বাগতিক দল। এর আগে নিকোলসও শূন্য রানে এবং উইল ইয়াং ৬৯ রানে সাজঘরে ফেরেন।
তার আগে ১৩০ রানে পিছিয়ে থেকে মঙ্গলবার দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা নিউজিল্যান্ডকে সহজে রান দেননি টাইগার বোলাররা। নতুন বলে তাসকিন ও শরিফুল ইসলাম অস্বস্তিতে রাখেন ব্যাটসম্যানদের।
তাসকিনের গতি ও বাড়তি বাউন্সেই মেলে প্রথম উইকেট। কেন উইলিয়ামসনের অনুপস্থিতিতে এই সিরিজে স্বাগতিকদের নেতৃত্ব দেয়া টম ল্যাথাম ব্যর্থ হন আরও একবার। ছেড়ে দিতে পারতেন এমন বাড়তি লাফানো বল আড়াআড়ি ব্যাটে ডিফেন্স করার চেষ্টায় তিনি টেনে আনেন স্টাম্পে।
এরপর ইয়াং ও প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান ডেভন কনওয়ে ছিলেন সাবধানী। প্রথম ইনিংসের মতো লাইন ও লেংথে অধারাবাহিক ছিলেন না ইবাদত। কয়েকটি বাউন্ডারি খেলেও একটু এদিক-সেদিক হলে হতে পারতো ক্যাচও। সেই তিনিই কনওয়েকে বিদায় করে ভাঙেন দ্বিতীয় উইকেট জুটির প্রতিরোধ।
গুড লেংথ বল ডিফন্সে করার চেষ্টায় ঠিক মতো পারেননি কনওয়ে। আম্পায়ার এলবিডব্লিউ কিংবা কোচ কোনোটার আবেদনেই সাড়া দেননি। বাংলাদেশ রিভিউ নিলে দেখা যায়, ব্যাট কানা ছুঁয়ে প্যাডে লেগে আসা ক্যাচ সামনের দিকে ঝাঁপিয়ে মুঠোয় জমান সাদমান ইসলাম। ম্যাচে এটি তার পঞ্চম ক্যাচ, প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন চারটি।
বাংলাদেশের সফল রিভিউ ও সাদমানের দুর্দান্ত ক্যাচের পর তুমুল করতালির মধ্যে ক্রিজে আসেন টেইলর। অপরাজিত আছেন ৩৩ রান করে। এদিনই ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করা ইবাদত ৩৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪টি উইকেট। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.